সরকারী খাস জমিতে দোকার ঘর নির্মান করে ব্যবসা করে আসছিলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আবদুল আলীম। বাঘাডাঙ্গা বাজারে নিজের মুদি দোকান থাকলেও তা ছিলো র্দীঘ দিন ধরে বন্ধ। আর র্দীঘ দিন ধরে বন্ধ থাকার করনেই সরকারী খাস জমি উদ্ধারে নোটিশ করা হয় একাধিকবার। ফলে দোকাল মালিক সরকারী জমি থেকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না সরানের কারনেই চুড়ান্ত নোটিশও দেওয়া হয় প্রতিষ্টানের মালিক আবদুল আলীমকে।মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রমাসকের নির্দেশে নেপা ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা হাসিবুর রহমান তা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছেন।
বাঘাডাঙ্গা বাজারের দোকানদার শহিদুল ইসলাম জানান, আবদুল আলীম ভাই অনেক দিন আগেই তার দোকান ঘরটি নির্মান করেন। তখন অবশ্য সরকারের কোন লোকজন বাধা দেয়নি। তিনি এখানে র্দীঘ দিন ব্যবসা করলেও এখন তার দোকার সব সময় বন্ধই থাকে। সে কারনেই ভুমি অফিসের নায়েব কয়েক বার নোটিশ দিয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনুচ্ছিুক বাজারের এক দোকানদার জানান, সরকারের জমি দখল করে দালান ঘর নির্মান করে তিনি ব্যবসা করে আসছিলেন। তার পরও তার ব্যবসা প্রতিষ্টানটি রয়েছে বন্ধ। সে কারনেই ভুমি অফিসের কর্মকর্তারা তার বন্ধ দোকানটি ভেঙ্গে দিয়েছে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক আবদুল আলীম জানান, আমি সরকারের জমিতে যখন দোকান ঘর নির্মান করেছিলাম তখন কেউ বাঁধা দেয়নি। এখন জয়গা খালি করতে বলা হচ্ছে। তার পরও আমি তাদের কাছে সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাকে সময় না দিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি ভেঙ্গে দিয়েছে।
নেপা ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা হাসিবুর রহমান জানান, সরকারী জমি দলখ করে আবদুল আলীম র্দীঘ দিন ব্যবসা করে আসছিলেন। তাকে একাধিকবার সরকারের জায়গা খালি করার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিনি তার বন্ধ দোকার ঘরটি না সরানের কারনেই জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমরা তা ভেঙ্গে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভুমি) কর্মকর্তা আনিচুল ইলামের সাথে তার মুঠো ফোনে বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ থাকার কারণে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।