নওগাঁর সাপাহারে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বিবাদমান সম্পত্তির আমগাছ কর্তন ও বসতবাড়িতে হামলার অভিযোগে বিবাদমান দুপক্ষের মধ্যে স্থানীয় থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সাপাহার উপজেলার গোয়ালার ইউপির কোচকুড়লিয়া গ্রামের মৃত সাজিরুদ্দীনের ছেলে হাসান জামান কর্তৃক থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের প্রতিপক্ষের মৃত মোস্তফা কামালের ছেলে তানভীর, মৃত সাজিরুদ্দীনের ছেলে রেজাউল করিম, আলাউদ্দীন, মৃত মোস্তফা কামালের স্ত্রী সায়েরা বেগম, ও চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার রহনপুরের বাগান মালিক সাদ্দাম হোসেন সহ ১০/১৫জন লোক বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে গত শনিবার বিকেলে তার বশতবাড়ীর দরজা ভেঙ্গে বাড়ীতে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ সময় তার স্ত্রী আগাইয়া গেলে তারা তাকেও মারপিট করে। তার স্ত্রী জীবন বঁচানোর তাগিদে আত্মচিতকার শুরু করলে তারা বাড়ী হতে পালিয়ে গিয়ে বাগানে প্রবেশ করে এবং প্রায় ৩শ’টি আমগাছ কেটে ফেলে। এ সময় তারা তাকে ও তার পরিবারকে জীবন নাশের হুমকী দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর মোবাইলে স্থানীয় থানায় এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিষয়টি অবহিত করলে এমনকি রবিবারে থানায় একটি লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে কেউ যায়নি বলে অভিযোগকারী হাসান জামান জানান।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের মৃত মোস্তফা কামালের ছেলে তানভীর এর সাথে কথা হলে তিনি জানান যে,অরেজিস্ট্রি বন্টননামা মূলে মোস্তফা শাহীদ, হাসান জামান বাদী হয়ে নওগাঁ কোর্টে তানভীর আহম্মেদ ও রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ৮৭/২০১১ নং মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বিজ্ঞ আদালত তানভীর আহমেদ ও রেজাউল করিমের রেজিস্ট্রি দলিলের পক্ষে দুইবার ডিক্রি প্রদান করেন। উল্লিখিত অভিযোগকারী আমার আপন ছোট চাচা, আমাদের জমিজমা বিষয়ে দীর্ঘ দিন ধরে তার সাথে বিরোধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহীকতায় গত ২২আগষ্ট আমার বাবার নামীয় সম্পত্তির লীজ গ্রহিতা সাদ্দাম হোসেন তার লোকজন নিয়ে বাগান পরিচর্জা করতে এলে আমার চাচা ও তার লোকজন নিয়ে গ্রামের রাস্তায় তাদের পথ রোধ করে মারধর শুরু করে। এ সময় চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আমি ঘটনাস্থলে গেলে আমার চাচা সহ তার লোকজন আমার প্রাণনাশের চেষ্টা চালায়। তারা এ সময় আমাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকী প্রদান করে। গ্রামের লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে তাদের কবল থেকে রক্ষা করে। এসংক্রান্ত বিষয়ে ওই দিনই আমি স্থানীয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পত্র দাখিল করি। সেদিনের ঘটনার কাউন্টার হিসেবে নিজের লোকজন দিয়ে নিজেরাই ওই সম্পত্তির আমগাছ কেটে ফেলে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সঠিক তদন্ত স্বাপেক্ষে সত্য ঘটনা উম্মোচন করে প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি হোক এটাই আমার দাবী
এবিষয়ে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা (ওসি তদন্ত) এর সাথে কথা হলে বিষয়টি যে হেতু জমিজমা সংক্রান্ত ও আদালতে মামলা চলমান সে হেতু বিষয়টি আদালতের ব্যাপার, তবে উভয় পক্ষের মধ্যেকার মারা মারির বিষয়টি খতিয়ে দেখে সঠিক ব্যবস্থা নেয় হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।