দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি গতি ও অটোপার্টস-এর দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে রাজশাহী মহানগরীতে হঠাৎ করেই রোববার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকেই অটোচলাচল বন্ধ করে দেয় চালক-মালিকদের একটি পক্ষ। এতে করে চরম বিপাকে পড়ে সাধারণ যাতায়াতকারী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। আর এই সুযোগে কিছু অটোচালক ও ব্যাটারী চালিত রিকশা চালকরা বেশী ভাড়া আদায় করা শুরু করে। এনিয়ে রোববার সকাল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন জায়গায় হট্টগোলও দেখা গেছে। আর অটোচলাচল বন্ধ রেখে জনসাধারণকে জিম্মি করে ভাড়া বৃদ্ধির জন্য অটোরিকশা চালক-মালিকদের একটি পক্ষ রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ হিসেবে দেখা গেছে, অটোরিকশা হঠাৎ বন্ধ করে জনগণকে জিম্মি করে ভাড়া আদায় ও তাদের নৈরাজ্যর খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার প্রেক্ষিতে সর্বসাধারণকে এই দৈরাতœ থেকে মুক্তি দিতে সোমবার (২৯ আগস্ট) সকাল থেকে রাজশাহী মহানগরীতে অল্পপরিসরে ৩০টি সিটিং সার্ভিস বাস নামানো হয়েছে। ফলে মহানগরীতে হঠাৎ করেই অটোচলাচল বন্ধ করে দেয়া সেসব চালক-মালিকদের ভাড়া বাড়ানোর দাবি ভেস্তে গেছে। যে কারণে সেসব চালক-মালিকদের সোমবার বিকেল থেকে আবারও অটো নিয়ে রাস্তায় দেখা গেছে।
মহানগরীতে সিটিং সার্ভিস বাস চালুর বিষয়ে রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সাফকাত মঞ্জুর বলেন, গত দুদিন থেকে অটোরিকশা চালক-মালিকরা চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা বিপদে পড়ে। যে কারণে অটোচালকদের জিম্মিদশা থেকে জনগণকে উদ্ধার করতে মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে সোমবার সকালেই প্রাথমিক অবস্থায় ৩০টি বাস অবস্থান করানো হয়। এরপর সিটিং সার্ভিস বাস চালুর বিষয়টি অধিকাংশ জনগণ জেনে যান। পরে বিকেল থেকে সিটিং সার্ভিস বাস নিয়মিত যাতায়াত শুরু করে।
কিন্তু সিটি মেয়রের সাথে আলোচনা করে বাস নামানো হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপাতত নিজেদের উদ্যোগে এই সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। আর ভাড়া আদায় ও শিক্ষার্থীদের জন্য কোন ছাড় রাখা হয়েছে কিনা বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো ভাড়া নির্ধারণ করা হয়নি। আপতত শহরের মধ্যে সর্বনি¤œ ৫-১০ টাকা ভাড়া নিয়ে চলবে। পরে ভাড়া নির্ধারণসহ সার্বিক বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।