পাবনার সুজানগরের গাজনার বিল হতে অবাধে নিষিদ্ধ কারেন্ট, চায়না দোয়ার, বেড় ও খড়া জাল দিয়ে পোনা ও মা মাছ নিধন করা হচ্ছে। এক শ্রেণির অসাধু মৎস্যজীবী প্রকাশ্যে ওই মাছ নিধন করলেও দেখার কেউ নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ঐতিহাসিক গাজনার বিল এ জনপদের মানুষের প্রাকৃতিক মাছের অন্যতম উৎস। চলতি বর্ষা মৌসুমে বিলে বর্ষার নতুন পানি আসার সাথে প্রচুর পরিমাণে পোনা ও মা মাছ আসে। তাছাড়া সরকারিভাবেও বিলে বিপুল পরিমাণ পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়। কিন্তু কতিপয় অসাধু মৎস্যজীবী ও মৎস্য শিকারীরা হাট-বাজার থেকে নিষিদ্ধ কারেন্ট, চায়না দোয়ার, খড়া ও বেড় জাল কিনে নিয়ে বিল হতে অবাধে মা ও পোনা মাছ নিধন করছে। বিলপাড়ের উলাট গ্রামের নূরুল ইসলাম শেখ বলেন, এ বছর বিলে ্এমনিতেই পানি ও মাছ কম। কিন্তু তা সত্ত্বেও এলাকার অসাধু মৎস্যজীবী ও মৎস্য শিকারীরা স্থানীয় সুফলভোগীদের সাথে যোগসাজসে প্রতিদিন দুপুরে, সন্ধ্যা রাতে এবং ভোর রাতে অবাধে পোনা ও মা মাছ নিধন করছে। উপজেলার রাইশিমুল গ্রামের জালাল উদ্দিন শেখ বলেন প্রতিদিন জনৈক জমৎস্যজীবী খয়রান ব্রিজের পাশে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ খড়া জাল পেতে পোনা ও মা মাছ ছেঁকে মারছে। পাশাপাশি ওই মাছ প্রকাশ্যে স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। এলাকার সচেতন মহল মনে করেন এভাবে পোনা ও মা মাছ নিধন করা হলে শুষ্ক মৌসুমে বিশাল গাজনার বিল মাছ শূন্য হয়ে পড়বে। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নূর কাজমীর জামান খান বলেন ইতঃপূর্বে বিলে অভিযান পরিচালনা করে বেশ কিছু নিষিদ্ধ কারেন্ট ও চায়না দোয়ার জাল উদ্ধার করা হয়েছে। শিগগিরই পোনা ও মা মাছ নিধন বন্ধে বিলে আবার অভিযান পরিচালনা করা হবে।