ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপার উপজেলার হাটফাজিলপুর-নিত্যানন্দপুর সড়কের সেতুটির পাটাতন ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হলেও নির্মাণের কোনো উদ্যেগ নেয়া হয়নি। একে একে চলে গেছে ১০টি বছর। দুর্ভোগ বাড়তে বাড়তে চরমে পৌঁছেছে। টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছে হাজার হাজার মানুষ।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, শৈলকুপা উপজেলার হাটফাজিলপুর বাজারের কাছে জিকে (গঙ্গা-কপোতাক্ষ) সেচ প্রকল্পের আলমডাঙ্গা মেইন খালের ওপর এই সেতুটি অবস্থিত।
কুমিরাদহ গ্রামের ইসলাম আলী জোয়ার্দ্দার জানান, তিনটি ইউনিয়নের কমপক্ষে ১৫ গ্রামের মানুষ এই সড়কটি ব্যবহার করে। যার মধ্যে রয়েছে চন্দ্রজানি, শিতারামপুর, পরানপুর, বাকড়ী, পানামী, কাকুড়িয়াডাঙ্গা,ভবানীপুর, সমেশপুর, ফাজিলপুর উল্লেখযোগ্য। এই সড়কের পাশে হাটফাজিলপুর ও ভবানীপুর এলাকায় ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
পাঁচপাখিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রায় ৫০ বছর পূর্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য গোলকনগর নামক স্থানে জিকে সেচ খালের খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণ করে। এরইমধ্যে ২০১৩ সালের দিকে সেতুটির পাটাতন ভেঙে পড়ে। ১২ ফুট পাটাতনের প্রায় সবটুকু ভেঙ্গে গেছে।
সেতুর পাশের মুদি দোকানদার আকাশ হোসেন জানান, মাঝে মধ্যেই এখানে দুর্ঘটনা ঘটে। কেউ পড়ে গেলেই তিনি ছুটে গিয়ে উদ্ধার করেন। এরইমধ্যে খালের মধ্যে পড়ে রোজদার আলী নামের একজন মারাও গেছেন। পঙ্গুত্ব¡ বরণ করেছেন আরও বেশ কয়েকজন।
এব্যাপারে আবাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বিশ^াস জানায়, জনগুরুত্বপূর্ণ এই খালের উপর সেতুটি দীর্ঘদিন ভেঙ্গে জনগনের চলাচলের চরম অসুবিধা হচ্ছে। সেতুটি নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনেকবার অবগত করেছি। কোন যে সেতুটি নির্মাণ হচ্ছে না এটা আমার বোধগম্য নয়। সেতুটি যেন দ্রুত নির্মান করা হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এব্যাপারে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম. রাশেদুল হাসান জানান, এই সেতুটি ছাড়াও তাদের আরও বেশ কয়েকটি সেতু মেরামত করা প্রয়োজন। কিন্তু বাজেট না থাকায় করতে পারছি না। বরাদ্দ আসলে সেতুটি নির্মাণ করা হবে।