চালের আমদানি শুল্ক কমানোর একদিন পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর থেকে চাল খালাস কার্যক্রম শুরু করেছেন চালের আমদানিকারকগন। মঙ্গলবার দুপুরে হিলি কাস্টমসে চালের বিলঅবএন্ট্রি সাবমিটের পর পরিক্ষন শুল্কায়ন শেষে বন্দর থেকে চাল খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আমদানিকারকরা জানান, দেশের বাজারে চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠলে চালের বাজার স্বাভাবিক রাখতে ৬২.৫ ভাগ শুল্ক থেকে কমিয়ে ২৫ভাগ করে চাল আমদানির অনুমোদন দিলে ২৩ জুলাই থেকে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু করেন আমদানিকারকরা। কিন্তু ডলারের মুল্য বৃদ্ধি ও ভারতীয় ব্যবসায়ীরা চালের মুল্য বৃদ্ধি করে দিলে চাল আমদানি করে লোকশান গুনতে হচ্ছিল। তাই শুল্ক ছাড়ের আশায় চাল খালাস না করে ২৫/৩০ দিন ধরে বন্দরে চাল বোঝায় ট্রাক ফেলে রেখেছিলেন। এতে করে বন্দরে ৩০৬টি ট্রাকে সাড়ে ১২হাাজার টন চাল আটকা থাকায় পণ্যজটের সৃষ্টি হয়েছিল। সর্বশেষ গত রোববার রাতে চালের শুল্ক কর ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার ঘোষনা দেয় সরকার। কিন্তু গতকাল কাগজপত্রের জটিলতার কারণে চাল খালাস সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে বন্দরে চাল খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কম শুল্কের এই চাল বাজারে প্রবেশ করলে কেজি প্রতি ৩/৫ টাকা করে দাম কমে আসবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের। এদিকে চাল খালাস শুরু হওয়ায় খুশি চাল নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাক চালকগন।
জনসংযোগ কর্মকর্তা সেহরাফ হোসেন জানান, দেশের বাজার স্থিতিশীল রাখতে দ্রুত চাল বোঝাই ট্রাক ছারকরন করা হচ্ছে। আমদানিকারক গ্রুপ এর সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, জটিলতা শেষে পোর্ট থেকে পন্য ৫ পার্সেন্টেজ ডিউটিতে কাস্টমস চাল ছাড় পত্র দিচ্ছে। এতে বাজারে চালের দাম কমে আসবে। এবং আরও চাল আমদানি হবে।