তিস্তা পানি বন্টন চুক্তির বাস্তবায়ন এটা কারও অনুগ্রহ নয়, এটা আমাদের অধিকার। এছাড়াও বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাথে ভারতের সর্ম্পক অনেক উচ্চতর অবস্থানে থাকার বিষয়টিও সবাই জানে। এরপরেও এই তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফর ব্যর্থ বলেই গণ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পিপলস সার্ক লিংক ফোরামের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান খান আলম।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি সম্পন্নের দাবি জানিয়ে তিনি একথা বলেন।
তিস্তার পানি দিবেন না, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাথ্যায়ের এমন কথাকে চরম মানবতাবিরোধী শব্দ আখ্যা দিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান খান আলমসহ উপস্থিত অন্যান্য বক্তারা বলেন, আন্তজার্তিক নদী চুক্তি আইন ভারতকে অবশ্যই মানতে হবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছেন, তিনি পানি দিবেন না। এটা চরম মানবতা বিরোধী শব্দ।
বক্তারা বলেন, ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে প্রাদেশিক সরকারের অভ্যান্তরীণ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে চাই না। তবে কেন্দ্রীয় সরকারকে পানির নায্যতা বুঝিয়ে দিতে হবে। আমরা প্রত্যাশা রাখতে চাই প্রধানমন্ত্রীর সফরে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের এই দাবি পূরণ হবে।
বাংলাদেশ পিপলস সার্ক লিংক ফোরামের আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ রিপনের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অঞ্জনা রায়, সহ-সভাপতি ডা. আবদুল মান্নান ও সদস্য শান্তি রঞ্জন ভৌমিক প্রমুখ। এ সময় তারা তিস্তার অসম পানি বন্টনের ফলে শুষ্ক ও বর্ষা মৌসুমে এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে সফল করতে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের দিল্লি সফরে যাচ্ছেন আগামী ৫ সেপ্টেম্বর। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ভারতের সঙ্গে এক ডজনের বেশি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর নিয়ে আলোচনা চলছে। আর এই আলোচনায় গুরুত্ব পাবে তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি। তবে শুধু আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে তিস্তা পানি বন্টন চুক্তির বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়েছে।