রংপুরে বিনামূল্যে পরিচালিত নৈশকালীন বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যসেবা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে পরীক্ষায় ভাল ফলাফল এবং নিয়মিত উপস্থিত হওয়া সহ বিভিন্ন সূচকে ভাল করা মোট ১৮জনকে উপহার তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। গত মঙ্গলবার রাতে সিটি করপোরেশনের ২৫ নং ওয়ার্ডের শালবন মিস্ত্রী পাড়া মহুবার দোলা এলাকায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সমাজ পরিবর্তন ও উন্নয়ন ফোরাম পরিচালিত নৈশকালীন বিদ্যালয়ের বয়স্ক শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে ওই কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সমাজ পরিবর্তন ও উন্নয়ন ফোরাম রংপুরের সভাপতি সাংবাদিক এস এম পিয়ালের সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এবং সাবেক রংপুর চেম্বার অব কমার্স এ- ইন্ডাস্টিজের সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. আবুল কাশেস, রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ এ- হাসপাতালের ডিপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর(ডিএমডি) মো.আশরাফুল আলআমিন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. জাভেদ হাসান, সিনিয়র সাংবাদিক আবেদুর হাফিজ, রংপুর ফিজিও থেরাপি এর পরিচালক ডা. জুবায়ের করিম, ১৮নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. ফারুক আজিজ, সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি মো. আজিজউল্লাহ এবং কোষাধ্যক্ষ সাংবাদিক মো. হুমায়ুন কবির মানিক। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক সহিদুল ইসলাম বাবলু।
সংক্ষপ্তি আলোচনায় বক্তারা বলেন, সংখ্যা গরিষ্ঠ দরিদ্র কর্মজীবী নারীরা সবসময় প্রচলিত শিক্ষার বাইরে থাকছেন। তাই শিক্ষাকে তাদের কাছোকাছি নিয়ে যাওয়ার কোন বিকল্প নেই। নিরক্ষর ব্যক্তিরা কখনো নিজেদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন না। পাশাপাশি তারা নিজেদের এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের স্বাস্থ্য বিষয়ে অধিকাংশ সময়ে উদাসীনতা দেখান। তাই তারা সচেতনতামূলক বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির নেতৃবৃন্দের প্রশংসা করেন এবং সাধ্যমতো পাশে থাকার অঙ্গিকার করেন।
উল্লেখ্য, বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সমাজ পরিবর্তন ও উন্নয়ন ফোরাম রংপুরের আয়োজনে ‘সোনার মানুষ গড়ি’ কর্মসূচীর অধীন মহুবার দোলা এলাকায় গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে নিরক্ষর মানুষদের অক্ষর জ্ঞানের পাশাপাশি তাদের সচেতনায় বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে একটি সেন্টারে দুই শিফটে ৬০জন নারী ও পুরুষ লেখাপড়া শিখছে। বিভিন্ন বয়সের নিরক্ষর ব্যক্তিরা প্রাত্যহিক কাজ শেষে বিকেলে সেন্টার গুলোতে অক্ষর জ্ঞানের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রমে প্রতিদিন অংশ নেন।