রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের বদনাপাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্তির পরপরই রাতারাতি স্বামীকে পরিচালনা কমিটির বানিয়ে প্রধান শিক্ষক হয়েছেন কেরানী মোর্শেদা বেগম নিজেই। স্বামী রেজাউল করিম পার্শ্ববর্তী গিলাবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক। বদনাপাড়া নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শুধুমাত্র কাগজে-কলমে ছাত্র ছাত্রী তলিকাভুক্ত করে প্রতিদিন উপস্থিতির হাজিরা টানা হয়। সরেজমিন দেখা গেছে,দুপুর ১২ টায় শিক্ষক কর্মচারিরা বারান্দায় পায়চারি করছেন,২ টা বাজার অপেক্ষায়। ২ টা বাজলেই যে যার বাড়ি চলে যাবেন। এভাবে গত বিশ বছর ধরে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। পরীক্ষার জন্য পৃর্ব থেকেই চুক্তি ভিত্তিক ১৫/২০ জন ছাত্র/ছাত্রী নাম রেজিষ্ট্রেশন করে রাখা হয়। যারা অনেকেই এসএসসি পাশ বা আরও বেশি যোগ্যতা সম্পন্ন। যে কারণে ওই বিদ্যালয় থেকে অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীরা শতভাগ পাশ করে। বিগত ২০০১ সালে বিদ্যালয়টি নিজের দেয়া জমিতে প্রতিষ্ঠা করেন স্থানীয় বাসীন্দা সাবেক ইউপি সদস্য কায়কোবাদ সাবু। এক বাণীবদ্ধ সাক্ষাতকারে কায়কোবাদ সাবু মেম্বর বলেন-বিগত ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমি সভাপতি ছিলাম। এমপিওভুক্ত না হওয়ায় বছরের পর বছর তালা দেয়া থাকতো স্কুলটিতে। শিক্ষক কর্মচারিরা কেউই আসতো না। দু’মাস আগে এমপিওভুক্তির ঘোষনায় হঠাৎ রাতারাতি কিভাবে সভাপতি পাল্টে গেল তা আমার বোধগম্য নয়। মোর্শেদা বেগমকে ২০০১ সালে যোগ্যতা না থাকায় আমি কেরানী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। সে কিভাবে প্রধান শিক্ষক হয় ? অপরদিকে মোর্শেদা বেগম দাবি করেন- তিনি ২০০৪ সালে বিএ পাশ করেছেন। কোন কলেজ থেকে বিএ পাশ করেছেন তা তিনি বলতে নারাজ। একপর্যায়ে মোর্শেদা বেগম উত্তেজিত হয়ে বলেন-“আমি বিএ পাশ করিনি তাতে কি হয়েছে ? আপনাদের কি করার আছে ? আপনারা আমার চাকরী খেতে পারবেন ? এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে মোর্শেদা বেগমের স্বামী রেজাউল করিমের কেরামতিতে তিনি রাতারাতি বিএপাশ করেছেন। মোর্শেদা বেগমের সনদ যাচাই করা হলেই গুরু রহস্য বের হবে বলে এলাকাবাসী দাবি করেছেন। বিদ্যালয় থেকে যারা বিগত দিনে পাশ করেছে এবং ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ঠিকানা নিয়ে সরেজমিন তদন্ত করা হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে মর্মেও একাধিক সুত্র দাবি করেছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মমিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এমপিওভুক্ত করন মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। কোন অভিযোগ থাকলে অবশ্যই তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।