বগুড়ার শেরপুরের নলবাড়িয়া দড়িখাগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল করিমের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা ২৯ আগস্ট সোমবার দুপুরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর এ অভিযোগ দেন।
জানা যায়, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের নলবাড়িয়া দড়িখাগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়লে ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর আবদুল করিম ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যায় ভাউচারে সভাপতির স্বাক্ষর জাল, বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কর্মকা- এককভাবে পরিচালনা ও আর্থিক হিসাবে অস্বচ্ছলতা, ম্যানেজিং কমিটির সভা আহবান না করা, বিদ্যালয় চলাকালীন বেশিরভাগ সময় বাড়িতে থাকা এবং ব্যাক্তিগত কাজ করা, শিক্ষার্থীদের পাঠদানে অংশ না নেয়া, কর্ম দিবসের বেশিলভাগ দিন বিদ্যালয়ে না থেকে উপজেলা শিক্ষা অফিসের নামে বাহিরে অবস্থান করা, অভিভাবকদের সাথে অসতাচরণ করা, বিগত বছরগুলোতে স্লিপের টাকা আত্মসাৎ করা, প্রয়োজনীয় পাঠ্যপুস্তকের চাইতে অতিরিক্ত পাঠ্যপুস্ত গ্রহন করে তা অন্যত্র পাচার করা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে ভাল সম্পর্কের সুবাদে বেপরোয়া আচরণ করা, সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত থেকে ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সভায় খাসি কেটে ভুড়িভোজ করা সহ অনেক অনিয়ম ও দূর্নীকি করে আসছেন। এ সকল কাজের প্রতিকার চেয়ে ২৯ আগস্ট সোমবার দুপুরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি সালেম উদ্দিন, বর্তমান সহ সভাপতি মো. মকবুর হোসেন, সদস্য রফিকুল ইসলাম, গাজিউর রহমান সহ আরো অনেকে।
এ ব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, নলবাড়িয়া দড়িখাগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব থেকেই বেশ সুনাম ছিল। আবদুল করিম ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান কমতে থাকে। এমনকি নানা অনিয়ম দূর্নীতি হচ্ছে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে আমি মনে করি। ওই শিক্ষকের অপকর্ম বন্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ছাইফুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।