নোয়াখালীর সেনবাগের গাজীরহাট মোড়ে সোমবার বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সংঘর্ষের ঘটনায় পুশিলের ওপর হামলা ও আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের দায়ের করা পৃথক দুইটি মামলায় আরো ৪ বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে সেনবাগ থানা পুলিশ উপজেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ওই ৪জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেঃ সেনবাগ পৌরসভার বাবুপুর গ্রামের আবদুল আউয়ালের ছেলে বাহারুল ইসলাম প্রকাশ দুলাল, ডমুরুয়া ইউপির নলুয়া গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে শফিকুর রহমান, আমিরুল ইসলামের ছেলে সফিকুর ইসলাম প্রকাশ ছোটন, ডমুরুয়া ইউপির বাবুপুর-শ্রীপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে শাহাদাত হোসেন প্রকাশ সোহাগ ও দক্ষিন মোহাম্মদপুর গ্রামের প্রিয়া রানী। গ্রেফতারকৃতদের বুধবার দুপুরে নোয়াখালী বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হয়। এরআগে সেনবাগ থানা পুলিশ সোমবার দিবাগত রাতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আরো ১৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করে।
উল্লেখ্য গত সোমবার বিকেলে সেনবাগ উপজেলার ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়নের ডমুরুয়া চৌ-মোড়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজ গ্রুপ কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে তেল,গ্যাস,বিদ্যুৎ ও গুম,খুনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষনা করে। একই সময় আওয়ামী লীগ ওই স্থানে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও সন্ত্রাস বিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে ডাক দেয়। এ সময় কাজী মফিজের নেতৃত্বে বিএনপির মিছিল থেকে আওয়ামী লীগের মিছিলকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।এসময় বিএনপির কাজী মফিজ গ্রুপের কর্মীরা ডমুরুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা করে আসবাবপত্র জাতির জনক,প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি মোরশেদ আলমের ছবি ভাংচুর করে এবং অফিসে লুটপাট চালায়। এ সময় সেনবাগ থানা পুলিশ হামলা কারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে বিএনপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে সেনবাগ থানার এসআই শ্রীবাস পাল, কনষ্টেবল আরমান ও আবু সুফিয়ান আহত হয়। এ ঘটনায় সেনবাগ থানা পুলিশ পেনাল কোড ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনের সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমান ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, ২২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৪০০ থেকে ৪৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা ভাংচুর ও দলীয় নেতাকর্মীদের আহত করার ঘটনায় ডমুরুয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার (ইউপি) সদস্য সাখাওয়াত হোসেন প্রকাশ উজ্জ্বল বাদী হয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাহার চেয়ারম্যান, সেনবাগ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ওবায়দুল হক, সদস্য সচিব মোক্তার হোসেন ইকবাল, নোয়াখালী জেলা কৃষকদল সভাপতি রবিউল হাসান পলাশ, সেনবাগ পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল হান্নান লিটন, সদস্য সচিব কামাল উদ্দিন বাবুল, বিএনপির নেতা ভিপি মফিজুল ইসলাম, সেনবাগ পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি জহিরুল ইসলাম লিটন, সাবেক সেক্রেটারী ফারুক বাবুল, নোয়াখালী জেলা মহিলা দল সাংগঠনিক সম্পাদিকা মনোয়ারা বেগম মনিসহ ২২৩ জনের নাম উল্লেখ্য সহ ৪শ থেকে ৪৫০ নামে মামলা দায়ের করে।