নিয়ামতপুর গয়েশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী জামিরুল। ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত সে। দ্রুত চিকিৎসা না হলে নিভে যেতে পারে শিশুটির প্রান। ছেলের এমন জটিল রোগের চিকিৎসা ব্যায় নিয়ে দিশেহারা কৃষক বাবা ফরহাদ।
এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদ শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর আবেদন জানান শিক্ষকদের সহযোগীতার হাত বাড়াতে। শিক্ষা কর্মকর্তা আবেদনে সাড়া দেন। তিনি প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সম্বনয় সভায় শিশুটিকে বাঁচাতে শিক্ষকদের প্রতি সহযোগিতার অনুরোধ করেন। শিক্ষকরাও বিষয়টি অবগত হয়ে শিশুটির দ্রুত চিকিৎসার জন্য সহযোগীতার হাত বাড়ান। দিনে দিনে উঠতে থাকে শিক্ষকদের অনুদানের টাকা।
বৃহস্পতিবার বিকালে শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসেন প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর বাবা। শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষকদের নিকট হতে সংগৃহিত নগদ ৭০ হাজার টাকা অনুদান তুলে দেন শিক্ষার্থীর বাবার হাতে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রনজিত কুমার সিকদার, মাকসুদুল হক, আবদুল হান্নানসহ কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
শিক্ষার্থীর বাবা ফরহাদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীকে বাঁচাতে শিক্ষকদের এ অবদানের কথা তিনি ভুলবেননা কোনদিন। শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল আলম জানান, শিশুটি ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অনেক টাকা যা তার বাবার পক্ষে বহন করা সম্ভব না। বিষয়টি জানার পর তিনি শিক্ষকদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে বলেন। শিক্ষকরাও শিশুটির চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়ান। কিছুদিন পর ওই শিক্ষার্থীর বাবার হাতে আরো ৫০ হাজার টাকা তুলে দিতে পারবেন বলেন তিনি।