রংপুরের পীরগঞ্জে গর্ভধারীনী ’মা’ ও বড় ভাইকে মারধরের অভিযোগে ছেলের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মা জাহানারা বেগম। উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে চাঁনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের মৃত আবদুস ছাত্তারের তিন ছেলে শাহ আলম মিয়া, সিরাজুল ইসলাম ও মোবাশ্বেরুল ইসলাম। গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারী বাবা আবদুস সাত্তার মারা গেলে ৩ ছেলে প্রায় ১৭ বিঘা জমি ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয়। মায়ের ভরণ পোষনে বড় ছেলে নিজ দায়িত্ব পালন করলেও ছোট ছেলে সিরাজুল ও মোবাশ্বের অবহেলা করতে থাকে। উল্টো মাকে গালিগালাজসহ দুর্ব্যবহার করে। গত ২৫ আগস্ট ঘরে রাখা আবাদি জমির ধান জোরর্পুবক সিরাজুল ও মোবাশ্বের ধান ব্যবসায়ীর ভ্যানে উঠাতে গেলে ’মা’ জাহানারা বেগম বাধা দেয়। সিরাজুল ও মোবাশ্বের ক্ষিপ্ত হয়ে গর্ভধারীনী মাকে ধাক্কা দেয় ও মারপিট করতে থাকে। খবর পেয়ে বড় ভাই আলম মিয়া ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও ঘাঁড় ধাক্কা দিয়ে কিল ঘুষি মারে। এতে তার বুকের একটি হাড় ভেঙ্গে যায়। আশংকাজনক অবস্থায় আলমকে প্রথমে উপজেলা কমপ্লেক্স ও পরে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে নেয়। এ সুযোগে সিরাজুল ও মোবাশ্বের ৯৯৯ কল করে থানা থেকে পুলিশ নিয়ে এসে ধান নিয়ে চলে যায় এবং উল্টো মা ও বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ দেয়। এ প্রসঙ্গে রায়পুরের বীট পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মাহবুব জানান, ওসি স্যার উভয় পক্ষের অভিযোগ তদন্ত করার নির্দেশ আমাকে দিয়েছেন,যা এখনও চলমান। উল্লেখ্য,সিরাজুল পীরগঞ্জ থানায় রাইটারের কাজ করে মাঝে মধ্যেই পুলিশকে ভিন্ন পথে প্রবাহের চেষ্টাও করে আসছে। বিগত ২০১৪ সালে ওই গ্রামে পীরোত্তর সম্পত্তি নিয়ে মামলা-হামলার ঘটনায় ২৮টি মামলা রুজু হয়। বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন হলে বিষয়গুলো জনপ্রতিনিধিরা ২০১৯ সালে বসে সুরাহা করেন। সে সময়ে সিরাজুল একটি পক্ষ নেয়ায় গ্রামবাসীর গণস্বাক্ষরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসায় তাকে থানা থেকে বের করে দেয়া হয়। সম্প্রতি সে আবারও থানায় খুঁটি গেড়ে বসে এসব নানাবিধ অপকর্ম করছে।