পুঠিয়ায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা টাকা ছাড়া কোনো নিয়োগ প্রত্রিুয়া স্বাক্ষর করছেন না বলে স্কুল মাদ্রাসার প্রধানরা অভিযোগ তুলেছেন। উপজেলায় স্কুল মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারী সরকারি বিধান অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্থানীয়ভাবে নিয়োগ দেওয়া যাবে। বর্তমানে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর কোথাও নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। জানা গেছে, উপজেলায় ৪৬টি স্কুল, ১৩টি মাদ্রাসা রয়েছে। নিয়মনুযায়ী স্কুল মাদ্রাসায় তিন/পাঁচটি করে চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে স্থানীয়ভাবে দেওয়া যাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা জানায়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা আখতার জাহান কোনো দিনই সঠিক সময়ে এবং নিয়মিত অফিসে আসেন না। তারপর, আসলেও দুপুর দেরটার ভেতরে তিনি অফিস ত্যাগ করে চলে যান। তার অনিয়ম গাফিলতির কারণে, অফিসের ভেতরে হযবরল অবস্থা বিরাজ করছে। আমরা কিছু বলার সাহশ পায় না। একজন প্রভাবশালীর ব্যক্তির সঙ্গে শখ্যতা থাকার জন্য, দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মগুলো হয়ে আসছে। উপজেলার একাধিক শিক্ষকদের অভিযোগ, বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অতীতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময়ে মাধ্যমিক কর্মকর্তাদের দশ হাজার টাকা বেশি দিতে হতো না। অনেক কর্মকর্তা টাকা নিতেই চাইতেন না। বর্তমান কর্মকর্তা অফিসিয়াল কাজগুলি দিনের পর দিন ফেলে রাখেন। অফিসের কাজের প্রতি তার সবসময়ে অনিহা দেখা যায়। সম্প্রতি তিনটি স্কুলে কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার সময়ে, মাধ্যমিক কর্মকর্তাকে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক একটি প্রার্থীর জন্য কম টাকা দিয়ে ছিলেন। তার ওপর কর্মকর্তা ভীষণ চটে গিয়ে ছিলেন। ওই কর্মকর্তা স্কুল মাদ্রাসায় কোনো নিয়োগ প্রত্রিুয়া হলে, বিজয়ী প্রার্থীকে ত্রিশ হাজার টাকা করে দিতে হয়। টাকা না পাওয়া পর্যন্ত তিনি নিয়োগ প্রত্রিুয়ায় স্বাক্ষর করেন না।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা আখতার জাহান যুগান্তরকে বলেন,আমি নিয়েছি এ কথা সর্ম্পূন মিথ্যা। আমি কোন প্রতিষ্ঠানে টাকা নিয়েছি, তা নির্দিষ্ট করে বলেন।