কয়েকটি জেলা ঘুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে গড়া শেখ মুজিব ভ্রাম্যমান রেলওয়ে জাদুঘর এখন পূর্বাঞ্চল রেলপথের দ্বিতীয় বৃহত্তর জংশন ও মুক্তিযুদ্ধ রণাঙ্গণের অন্যতম প্রবেশদ্বার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায়।জাদুঘনটি মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর)) সকাল ৯ টা থেকে দর্শনাথীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।এছাড়া সকাল ১০ থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত আগামী তিনদিন উপজেলার জনসাধারণের জন্য এ রেলওয়ে জাদুঘরটি উন্মুক্ত থাকবে।
দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা ও সুদৃশ্য ইন্টেরিয়র ডিজাইন এবং অসামান্য কারুকাজে তৈরি করা হয়েছে জাদুঘরটি। শিশু, কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী লোকজন সকাল থেকে জাদুঘরটি পরিদর্শন করছেন। সেই সাথে জানছেন বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযদ্ধের অনেক অজানা ইতিহাস।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই জাদুঘরে প্রবেশ করেই দর্শনার্থীরা পরিচিত হচ্ছেন জাতির পিতার শৈশবের দিনগুলোর সঙ্গে, পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রজীবন, বেড়ে ওঠা, মানুষের অধিকার আদায় ও সংগ্রামে মানুষের বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠা। তুলে ধরা হয়েছে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সংগঠক হয়ে ওঠার স্থিরচিত্রও। মঙ্গলবার সকালে মায়ের সাথে জাদুঘর পরিদর্শনে আসা পৌরশহরের নাছরীন নবী পাইলট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র মাঈন জানান, আমি আগে কখনো জাদুঘর দেখিনি। এখানে আসায় সেই সুযোগ হয়েছে। ভিতরে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর চশমাসহ অনেক গুলো ছবি দেখিছি। যা দেখে নতুন অনেক কিছু শিখতে পারলাম। নাছরীন নবী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী জাকারিয়া খানম জানান, আমাদের এখানে বঙ্গবন্ধুর ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর কল্পনাও করিনি। জাদুঘর ঘুরে ঘুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অনেক ছবিসহ অনেককিছু দেধেছি। তাছাড়া অনেক অজানা তথ্য জেনেছি। সব মিলিয়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। জাদুঘর পরিদর্শনে আসা আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আরমান জানান, বাড়ির আঙ্গিনায় শেখ মুজিব ভ্রাম্যমান রেল জাদুঘর বিষয়টি ভাবতে আনন্দ লাগছে। এখানে যথার্থভাবেই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া রেলের একটি মাত্র বগির মধ্যে ভ্রাম্যমান জাদুঘর করে বঙ্গবন্ধুকে চমৎকার ভাবে উপস্থাপনা করা হয়েছে। আমি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে এমন উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানায়।
পরিদর্শনে আসা আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি মোঃ আলিম জানান, আমি মনে করি কর্তৃপক্ষের এধরনের উদ্যোগ আরো অনেক আগেই নেওয়া উচিত ছিল। জাদুঘরে এসে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ, সাহসিকতা ও প্রতিবাদের ভাষা জানতে পারবে।
জাদুঘর প্রদর্শনের দায়িত্ব প্রাপ্ত হাদি উদ-জামান জানান, গতকাল রাতে আমরা এখানে আসি। মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রদর্শনী শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও স্বাধিনতা নতুন প্রজন্মকে জানান দিতেই রেল কর্তৃপক্ষের এই উদোগ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত অনেক তথ্য এখানে আছে।নতুন প্রজন্ম এখানে আসলে অনেক কিছুই জানতে পারবে।
আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন সুপার কামরুল হাসান তালুকদার বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, স্বাধিনতা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে নতুন প্রজন্মকে ধারণা দিতেই এই আয়োজন। আমি নতুন প্রজন্মসহ সবাইকে এ জাদুঘরটি পরিদর্শন করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।