ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের পিছিয়ে পড়া বেদে সম্প্রদায়ের জীবনমানের উন্নয়নে সরকারী ভাবে নির্মিত ঘর প্রদানের পর তাদের শিশুদের বিনোদন মানসিক বিকাশে আবাসন এলাকায় ”দুরন্ত শৈশব” পার্ক নির্মান করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ শিশুপার্কটির উদ্বোধন ঘোষনা করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার জিল্লুর রহমান চৌধুরী। এ সময় তিনি বেদে সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি পরিদর্শন করে বসবাসকারীদের খোঁজ খবর নেন।
এর আগে বেদে সম্প্রদায়ের লোকজন ছিল ভবঘুরে। তাদের বসবাসের জন্য স্থায়ী কোন ঘরবাড়ি ছিলনা। তারা সারাদেশে যাযাবরের মত ঘুরে বেড়াতো। এ সকল পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে সরকারী ভাবে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের বারোবাজার ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মাজদিয়া বাঁওড়ের ধারে ৫৯ পরিবারের জন্য ঘরবাড়ি নির্মান করা হয়। পরে গত ২১ জুলাই তাদের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হয়। প্রায় ৩০০ লোকের বাসস্থানের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মাণ করা হবে কবরস্থান ও মসজিদ। দেশের ইতিহাসে বেদে সম্প্রদায়ের জন্য নির্মিত এটাই সবচেয়ে বড় স্থায়ী বেদেপল্লি তাদের সুযোগ সুবিধার কথা মাথায় রেখে পল্লিটি নির্মাণ করা হচ্ছে বড় জলাধারের পাশেই। যেখানে ঘরের চারপাশেই রয়েছে বেশ কিছু খোলা জায়গা। এসব খোলা স্থানে তারা গবাদি পশু পালন এবং বৃক্ষরোপনে কাজে লাগাচ্ছে।
আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের অধীন গৃহহীন ও ভূমিহীন বেদে সম্প্রদায়ের জন্য নির্মিত প্রত্যেক পরিবারের জন্য ২ শতক জমির উপর ২ টি রুম, রান্না ঘর ও একটি টয়লেট রয়েছে। প্রতি পরিবারের ঘর তৈরিতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা। সর্বশেষ সোমবার বেদে পল্লীর শিশুদের জন্য কল্যাণেনির্মিত ”দুরন্ত শৈশব” নামে পার্ক উদ্বোধন কালে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহের জেলা প্রমাসক মনিরা বেগম, এডিসি (রাজস্ব) রাজিবুল হাসান, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিন, কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ হাবিবুল্লাহ প্রমুখ।
সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা খুলনা বিভাগীয় কমিশনার জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, বেদে পল্লীতে বসবাসকারীদের এখন স্বচ্ছল করতে সরকারের পক্ষ থেকে স্বল্প সূদে ঋণ বিতরণ ও বিভিন্ন প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।