হবিগঞ্জের মাধবপুরে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ লাভের মুখ দেখবেন বলে কৃষকরা আশাবাদী। উপজেলার চৌমুহনী ও শাহজাহানপুরসহ কয়েকটি এলাকায় কৃষকরা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই)সিলেট এর তত্তাবধানে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন আগাম জাতের বারি ১১ হাইব্রিড টমেটো চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।
সরেজমিন মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায় বিশাল মাঠে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করেছে কৃষকরা। সারি সারি টমেটো গাছে ঝুলছে টমেটো। কৃষকরা গাছের পরির্চযায় ব্যস্ত সময় পার করছে। কথা হয় গোপীনাথপুর গ্রামের কৃষক আবদুল বাছির বদু মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান এখন তার প্রধান পেশা টমেটো চাষ। বারি ১১ জাতের টমেটোতে ফলন বেশি হয়। আগে যেখানে একটি সাধারণ টমেটো গাছে ৫ থেকে ১০ কেজি টমেটো সংগ্রহ করা যেত, এখন বারি ১১ জাতের একটি টমেটো গাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ কেজি টমেটো সংগ্রহ করা যায়। পৈতৃক ২০০ শতক জমিতে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে আগাম জাতের বারি ১১ হাইব্রিড টমেটো চাষ করেছি। এতে তার খরচ হয়েছে ৬ লক্ষ টাকা। আবহাওয়া অনুকলে থাকলে ১৫ লক্ষ টাকার টমেটো বিক্রির আশা করছি।
শাহজাহানপুর ইউনিয়নের গোয়াছনগর গ্রামের কৃষক আবদুর রাজ্জাক জানান-সরকারি ভাবে সর্বাত্মক সহযোগিতা পেলে টমেটো চাষকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। স্থানীয় গ্রাফটিং প্রযুক্তির মাধ্যমে টমেটো চাষীদের উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে এতে এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশে অন্যান্য এলাকারয় বাজারজাত করা যাবে।
চৌমুহনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ জানান-আমাদের এলাকার অধিকাংশ জনসাধারন কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাই উপজেলা কৃষি অফিসের পাশাপাশি আমার পরিষদ থেকেও তাদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান-উপজেলায় ৫৭০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের টমেটো চাষ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। আমাদের ইচ্ছে চৌমুহনী ইউনিয়ন সহ পুরো উপজেলাকে বিষ মুক্ত সবজি উৎপাদনে মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।