জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ৯ নম্বার আসামি হয়ে কারাভোগ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা দলিল উদ্দিন আহমেদ।
জেলার বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছেন সেই দলিল উদ্দিনের অসহায় স্ত্রী চাঁনবরু বেগম (৬৫)। বিভিন্নরোগে আক্রান্ত হয়ে অর্থাভাবে বিনাচিকিৎসার শষ্যাশয়ী চাঁনবরু বেগম অর্ধাহারে অনাহারে জীবন যাপন করছেন। তার (চাঁনবরু) ভাগ্যে জোটেনি কোন সরকারী-বেসরকারী সহায়তা।
বড় ছেলে দিনমজুর আবদুল বারেক হাওলাদারের সাথে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের এক টুকরো জমির ওপরের ভাঙ্গাচুরা টিনের ঘরে বসবাস করছেন চাঁনবরু বেগম। বারেক হাওলাদার বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনেক কিছু করলেও শুধু মুক্তিযোদ্ধার ভাতা ছাড়া আমরা আজ পর্যন্ত কোন সহায়তা পাইনি।
সূত্রমতে, ২০০৬ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা দলিল উদ্দিন আহমেদ মৃত্যুকালে চার স্ত্রী, আট ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দলিল উদ্দিনের প্রাপ্য ভাতা চার স্ত্রীর মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়া হয়। ফলে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার প্রথম স্ত্রী চাঁনবরু বেগমের মাসিক ওষুধের টাকাও হয়না। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত চাঁনবরু বেগমকে চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু অর্থাভাবে চাঁনবরু বেগমকে উন্নত চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছেনা। তাই বিনাচিকিৎসাসহ অর্ধাহারে শষ্যাশয়ী হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন চাঁনবরু বেগম। তাই মায়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য সমাজের মহানুভব ব্যক্তি, প্রবাসী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চাঁনবরুর দিনমজুর ছেলে আবদুল বারেক হাওলাদার।