গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া ইউনিয়নের খিরাটি গ্রামে ভেজাল গুড় তৈরি কারখানার মালিকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার খিরাটি গ্রামের এমএ মজিদ সায়েন্স কলেজ সংলগ্ন ভেজাল আখের গুড় তৈরির কারখানায় এ অভিযান চালায়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হুসাইন। কাপাসিয়া থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। গুড় তৈরি কারাখানায় নোংরা পরিবেশে পঁচা গুড়, ফিটকিরি, চিনি, রাসায়নিক দ্রব্য ও পানির সাথে মিশিয়ে এই গুড় তৈরি করা হতো ওই কারখানায়। ওই কারখানাটি পরিচালনা করতেন নূরুল ইসলাম (৬০)। তিনি খিরাটি গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হুসাইন জানান, গুড় তৈরির কারখানার মালিক নূরুল ইসলামকে পঁচা গুড়, ফিটকিরি, চিনি, রাসায়নিক দ্রব্য ও পানির সাথে মিশিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গুড় তৈরির অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৯/৪৩ দ্বারা অনুযায়ী ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে পচা গুড় ও গুড় তৈরির মালামাল জব্দ করে ওই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিরন মোল্লার জিম্মায় রাখা হয়েছে। পরে এগুলি ধ্বংস করে দেয়া হবে।
উল্লেখ, দীর্ঘদিন যাবত শিবপুর মনোহরদীসহ বিভিন্ন এলাকায় আখের ভেজাল গুড় তৈরি করে দেশব্যাপী বাজারজাত করে আসছিল। গত বছরও এই চক্রের একাধিক কারখানায় অভিযান চালিয়ে ভেজাল গুড় জব্দসহ অর্থদন্ড দেওয়া হয়। ওই সময় দায়ের করা তাদের বিরুদ্ধে ভেজাল খাদ্য দ্রব্য উৎপাদনের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। মামলাগুলো বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
এদিকে বুধবার বিকেলে উপজেলা সদরে কাপাসিয়া বাজার এলাকায় জনগণের চলাচলের ফুটপাত দখলমুক্ত, উচ্ছেদ- অভিযানে ৪জন ব্যবসায়ীকে ভোক্তাধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এরব৩৯/৪৩ দ্বারায় ৪টি মামলায় ২৭হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একেএম গোলাম মোর্শেদ খাঁন। এ-বিষয়ে তিনি জানান, বাজারে সাধারণ ক্রেতা ও জনগণের চলাচলের জন্য ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য উচ্ছেদ এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।