ফিল্মি স্টাইলে পুেিশর উপর গুলি চালিয়ে দুই পুলিশ কর্মকতাকে আহত করে ডাকাতি,চুরি,হত্যা,ধর্ষণসহ ১৫টি মামলার এক আসামিকে হ্যান্ডকাপসহ ছিনতাই করে নিয়ে গেছে মাদক কারবারী ও ডাকাতরা। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নুরজাহানপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটেছে। আহত পুুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. সোহেল এবং উপপরিদর্শক (এসআই) রনি সোরে রানা।
জানাযায়, উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নুরজাহানপুর গ্রামের মৃত সুধন মিয়ার ছেলে, মাদক সম্রাট মন্নাফ(৫০)ওরফে মনেকের বিরুদ্ধে ডাকাতি,চুরি,হত্যা,ধর্ষণসহ ১৫টি মামলার রয়েছে। গত ১৯ এপ্রিল মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছিলো পুলিশ। কিছুদিন পূর্বে জেল থেকে জামিনে বেড়িয়ে এসে আবারও মাদক,বেচাকেনা সন্ত্রাসী কর্মকা-ে লিপ্ত হয়। তার ছেলে শিপন ডাকাতি ও মাদক মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী, তারা বাপ বেটা এলাকায় অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মনেককে আটক করে তার হাতে হ্যান্ডকাপ লাগায় পুলিশ, এই সংবাদ পেয়ে মনেকের ছেলে শিপনসহ কয়েকজন মাদক কারবারী দুইদিক থেকে পুলিশের উপর আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে। পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায়। ওই সময় মনেককে নিয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুলিতে আহত হন নবীনগর থানার (ওসি তদন্ত) মো. সোহেল এবং (এসআই) রনি সোরে রানা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম জানান, মাদক সম্রাট ও ডাকাত মনেক ও তার ছেলে শিপন মাদক ও ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী, পুলিশ অভিযান চালিয়ে মনেককে আটক করে। পালাতে মনেকের হাতে থাকা ছুড়ি দিয়ে পুলিশের উপর আক্রমণ করে, একই সময় মনেককে ছাড়িয়ে নিতে ডাকাত শিপন ও তার সহযোগী সোহাগসহ আরও দুইজন পুলিশের উপর গুলি ছুড়তে থাকে, পুলিশও আত্মরক্ষা করতে ১৪ রাউন্ড পাল্টাগুলি ছুড়ে। সেই সুযোগে মনেকসহ হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মাথায় গুলি বিদ্ধ থাকায় এসআই রনি সোরে রানাকে কুমিল্লা রেফার করেন এবং (ওসি তদন্ত)মো. সোহেল এর হাতে গুলি লেগে বেড়িয়ে যায়,তাকে নবীনগর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী ও ডাকাত চক্রকে আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে।