বিভিন্ন অভিযোগে কারাভোগের পর সদ্য জামিনে বের হওয়া উপ-সহকারী খাদ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে স্বাক্ষ্য প্রদান করায় এক ইউপি সদস্য এবং এক যুবলীগ নেতাকে অপহরনের চেষ্ঠা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ইউপি সদস্য এবং যুবলীগ নেতাকে অপহরণ চেষ্টার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে উপ-সহকারী খাদ্য কর্মকর্তা ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাটি জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলা খাদ্য গুদাম সংলগ্ন এলাকার।
শনিবার সকালে গৌরনদীর মাহিলাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন হাওলাদার বলেন, একই ইউনিয়নের পূর্ব বেজহার গ্রামের মৃত আনোয়ার রাঢ়ীর ছেলে আগৈলঝাড়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের উপ-সহকারী খাদ্য কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম ও তার ভাই রাসেল রাঢ়ী সরকারী চাকরির অন্তরালে সবধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে।
ইউপি সদস্য আরও বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও তার বালুর ব্যবসাকে ছিনিয়ে নিতে আরিফুল ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা আমাকেসহ উপজেলা যুবলীগ নেতা সলিল গুহ পিন্টু এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য অবসরে যাওয়া সচিব মাহতাব হোসেনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগের পর অতিসম্প্রতি জামিনে বের হয় আরিফুল ও তার সহদর রাসেল রাঢ়ী।
ইউপি সদস্য বলেন, আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে খাদ্য অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করেন। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত উপ-সহকারী খাদ্য কর্মকর্তার কাছ থেকে লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য গ্রহন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
জসিম উদ্দিন হাওলাদার বলেন, তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দিয়ে ফেরার পথে আরিফুল ইসলাম ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা আমাকেসহ যুবলীগ নেতা সলিল গুহ পিন্টুকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরনের চেষ্টা চালায়। এ সময় খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমাদের রক্ষা করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্তকারী দলের এক কর্মকর্তা বলেন, উপ-সহকারী খাদ্য কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সম্প্রতি তিনি (আরিফুল) বরিশাল-৪ আসনের সাংসদ পঙ্কজ নাথের ডিও লেটার নিয়ে বদলী হওয়ার চেষ্টা করেছেন। এসব বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।
অভিযোগের ব্যাপারে উপ-সহকারী খাদ্য কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিবার যোগাযোগ করা হলেও তার নম্বর বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।