আওয়ামী লীগ নেতাকে পরিষদে আটকে রেখে মারধরের ঘটনায় অবশেষে জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরে আলম বেপারীসহ তার ছয় সহযোগীকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল ইসলাম বাবুলের স্ত্রী ফাতেমা খানম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম বেপারীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগি সিহাব উদ্দিন, নাঈম হোসেন, মানিক শিকদার, শিহাব উদ্দিন রাজু, সাইফুল ইসলাম, জাকির হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। শনিবার সকালে মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বাবুগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মাহাবুবুর রহমান বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।
এজাহারে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল ইসলাম বাবুলের সাথে ভূতেরদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠণ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরোধ চলে আসছিলো। ওই বিরোধের জেরধরে গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্থানীয় স্টীমারঘাট বাজারে চেয়ারম্যানের নিজস্ব কার্যালয়ে আজিজুল ইসলাম বাবুলকে ডেকে নিয়ে আটক করে রাখা হয়। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা হাতুরী ও লাঠিসোটা দিয়ে আজিজুল ইসলাম বাবুলকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। একপর্যায়ে হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ নেতার গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা চেষ্টা চালায়। এ সময় আজিজুল ইসলাম বাবুলের চিৎকারের স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতঃপূর্বে ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম বেপারী সরকারী চাল কালো বাজারে বিক্রির সময় র্যাব-৮ এর একটি টিম চালসহ তার দুই ইউপি সদস্যকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। ওই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলার পর তিনি সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন।