খুলনার পাইকগাছা পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আরিফ আহম্মেদ জয় ও তার পিতা ইদ্রিসুর রহমান মন্টু সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলার অভিযোগে জানা যায়, তরুন হালদারের পিতার দীর্ঘদিনের দখলীয় একটি মৎস্য লীজ ঘের, যা নিয়ে জগদীশ চন্দ্র সরদারের সাথে মামলা-মোকাদ্দামা চলে আসছে। সর্বশেষ এ জমিতে মহামান্য হাইকোর্টের দখল ভিত্তিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ রয়েছে। তা অমান্য করে এ সময়ের মধ্যে মৎস্য লীজঘেরটি দখলবিহীন জগদীশের তর্কিত জমি পৌরসভা ছাত্রলীগ নেতা আরিফ আহম্মেদ জয় খরিদ করে। উল্লেখ্য, ওই জমি ইজারা নিয়ে ইতঃপূর্বে ১০/১২জন ব্যক্তি বিভিন্ন সময় জবর দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। আর সর্বশেষ ছাত্রনেতা আরিফ আহম্মেদ জয় জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর তরুন কুমার হালদার পাইকগাছা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তিনি তার মৎস্য লীজঘের রক্ষা সহ জান মালের নিরাপত্তার দাবিতে সরকার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ঐ দিন রাতেই ছাত্রলীগনেতা জয় ও তার দলবল তরুনের পিতার মৎস্য লীজঘেরে হামলা, বাসা-বাড়ি ভাংচুর, তরুনের বাবাকে মারপিট ও হত্যা চেষ্টা, মাছ চুরি সহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিসাধন করেন। এ সময় তরুন হালাদার থানার ওসি কে জানালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে তরুন হালদারের পিতা সহ ৪ জবর দখলকারিকে আটক করে থানায় আনেন। পরদিন সকালে থানা পুলিশ তরুনের বৃদ্ধ পিতাকে জিম্মায় ছেড়ে দিয়ে জবর-দখলকারীদের আদালতে প্রেরণ করেন। এবং আদালত তাদের কে জামিনে মুক্তিদেন। পরবর্তীতে ঘটনার বিষয়ে তরুন হালদার বাদী হয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগ নেতা ও তার পিতা সহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন, যার নং সিআর ৯০৯। আদালত মামলাটি পিবিআই খুলনা কে তদন্তের নির্দেশ দেন। এ অবস্থায় জবর-দখলকারিরা তরুন হালদারের পিতার মৎস্য লীজঘেরটি স্থায়ীভাবে দখল নেওয়ার ও রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। একই সাথে ছাত্রলীগনেতা পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করছেন বলে তরুন জানান। সে আরো জানান, সংবাদ সম্মেলনে আমাকে জামায়াত-বিএনপি’র সমর্থক বলে দেশ ছাড়ার হুমকি অব্যাহত রেখেছেন। তাই সরকার ও প্রশাসন সাহায্য না করলে রাতের আঁধারে স্ব-পরিবারে দেশ ত্যাগ করা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় থাকবে না বলে চোখের জল ফেলে তরুন হালদার ও তার পরিবার বলেন।