ফুটবলের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহন করেছে। গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রতিভাকে খুজে বের করে জাতীয় পর্যায়ে অংশ গ্রহনের এই প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে। খেলাধুলার প্রসার ঘটিয়ে যুব সমাজকে মাদকমুক্ত করে তাদের নৈতিক চরিত্র গঠনে আমাদের এ উদ্যোগ অব্যহত থাকবে।
শনিবার বিকালে দাকোপ উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা ক্রিড়া সংস্থার যৌথ আয়োজনে বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার এ কথা বলেন। দাকোপ উপজেলা পরিষদ মাঠে বিকাল ৪ টায় অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় প্রতিদ্বন্দিতা করে বাজুয়া ইউনিয়ন ফুটবল একাদশ বনাম চালনা পৌরসভা ফুটবল একাদশ। তীব্র প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ন খেলাটি নির্ধারীত সময়ে গোলশুন্য ভাবে শেষ হলে টাইব্রেকারে ফলাফল নির্ধারীত হয়। যেখানে ৩-২ গোলের ব্যবধানে চালনা পৌরসভা বাজুয়া ইউনিয়নকে পরাজিত করে অপারাজিত চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করে। দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক সাদিকুর রহমান, দাকোপ উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগ সভাপতি আলহাজ¦ শেখ আবুল হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার সি সার্কেল রাশেদ হাসান, খুলনা জেলা ক্রিড়া সংস্থার সভাপতি এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ উজ্জ্বল কুমার দত্ত, খুলনা মহানগর আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শহিদুল হক মিন্টু, উপজেলা ক্রিড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. কে,এম ইকবল হোসেন, দাকোপ উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ রায়, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. তারিক মাহমুদ তারা, দাকোপ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গৌরপদ বাছাড়, খুলনা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য কে এম কবির হোসেন, চালনা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র শেখ মেহেদী হাসান বুলবুল, ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন মন্ডল, মিহির মন্ডল, মানস মুকুল রায়, সুদেব রায়, দাকোপ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শিপন ভূইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজগর হোসেন ছাব্বির, উপজেলা প্রশাসনের দাপ্তরিক কর্মকর্তাবৃন্দসহ চালনা পৌরসভার কাউন্সিলর এবং বাজুয়া ইউনিয়নের সদস্যবৃন্দ। খেলায় চ্যাম্পিয়ান দলকে ৫২ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশন এবং রানার্সআপ দলকে ৪২ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশন উপহার দেওয়া হয়। উল্লেখ্য গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন ও চালনা পৌরসভা মিলিয়ে ১০টি দল এই টুর্ণামেন্টে অংশগ্রহণ করে।