পূর্ণিমা ও সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে বরিশাল বিভাগের নয়টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে বিভাগের নিন্মাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। একইসাথে রোববার দিনভর মুষলধারে বৃষ্টিপাতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশাল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার দুই সেন্টমিটার ওপরে, ঝালকাঠীর বিষখালী নদীর পানি দুই সেন্টিমিটার, ভোলার তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার, দৌলতখানের সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনের সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ ছাড়া পটুয়াখালীর পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টমিটার, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টমিটার, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার সাত সেন্টমিটার ও উমেদপুরের কঁচানদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে বরগুনা সদরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বিষখালী নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করছে।
বরিশাল বিভাগীয় আবহাওয়া অফিসের উচ্চপর্যবেক্ষক মাজহারুল ইসলাম জানান, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওড়িশা অঞ্চলে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে বরিশালের নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যেকারণে পায়রা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর ও বরিশাল নদীবন্দরে এক নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।