মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নের টেংগারচর গ্রামে শনিবার বিকালে বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয় রিতিক (১৯) ও নিহাদ(১৬)নামে দুই ভাই। এদিকের হামলার ঘটনার জের ধরে দুটি বসত ঘর,একটি সিএনজি,একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ভাঙচুর ও বাড়ি ঘরে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, শনিবার (১০ আগষ্ট) বসতবাড়ির উঠানে বালি ভরাটকে কেন্দ্র করে টেংগারচর গ্রামের ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক আরিফের সাথে তার কাকা রবিউল আউয়ালের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রিতিক রবিউল আউয়ালের পক্ষ নিয়ে আরিফের উপর চড়াও হয়। রবিউল আউয়াল সম্পর্কে রিতিকের ফুফুা। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আরিফ, তার ভাই হালিম ও বাবা আবদুল আউয়াল তিনজন মিলে রিতিকের উপর হামলা চালায়। এ সময় তার ছোট ভাই নিহাদ তাকে বাচাঁনোর জন্য এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দুই ভাইকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক।
এদিকে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সন্ধ্যার পর হামলাকারী আরিফের বাড়ির দুটি বসত করে ভাঙচুর এবং লুটপাট এর ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ভাঙচুর করা হয় একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা এবং একটি সিএনজিও। হামলাকারীরা হামলা চালিয়ে মোট ৯ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধন করেছে বলে দাবি আরিফের পরিবারের।
আরিফের বড় বোন দিনা বেগম বলেন, গতকাল সন্ধ্যার পরপর হৃদয়, কাদির, রেনু মিয়াসহ অন্তত ১৫/২০জন তাদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এ সময় দুটি বসত ঘরের টিভি,ফ্রিজ,শোকেজসহ যাবতীয় আসবাবপত্র, একটি সিএনজি ও একটি ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা ভাঙচুর ও নগদ ২ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
আরিফের মা হাসি বেগম বলেন, রিতিক কিছুদিন আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিল। তার পায়ের কিছু জায়গায় সেলাই ছিল গতকাল উভয় পক্ষের ধস্তাধস্তিতে সেলাই ছুটে গেছে এর বাইরে কিছুই হয়নি। তবে এই ঘটনাকে পুঁজি করে তাদের বাড়ি ঘরে লুটপাট চালিয়ে অন্তত নয় লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করা হয়েছে।
এদিকে হামলায় আহত রিতিকের দাবি, হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি ও তার ছোট ভাই।
ধারালো ছুটির আঘাতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে গেছে। তার ছোট ভাই নিহাদের হাত ভেঙে ফেলা হয়েছে
এদিকে এই ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে গজারিয়া থানায়। ভাবে বিষয়টি ধামা চাওয়ার চেষ্টা করা হলেও এখন উভয়পক্ষকে মীমাংসা করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, তদন্ত চলমান।