দুই সপ্তাহ গত হলেও নিখোঁজ রহিমা বেগমের কোন সন্ধান মেলেনি। নগরীর দৌলতপুর থানার রেলিগেট মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম (৫০)। নিখোঁজ রহিমা বেগমের সন্ধানের দাবীতে মেয়েরা এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে শুক্রবার (১০ আগস্ট) বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন।
মানববন্ধনে নিখোঁজ রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম বলেন, আমরা যে কোন মূল্যে আমাদের মাকে খুঁজে পেতে চাই। সরকার এবং প্রশাসনের কাছে আমার একটাই অনুরোধ আমার মাকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিন।
রহিমা বেগমের একমাত্র ছেলে এমএ সাদী বলেন, সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন, আমার মাকে ফিরিয়ে দিন। আমরা আমাদের মাকে দেখতে চাই। গত ১৪ টা দিন আমি ঘুমাতে পারছি না। তিনি খেয়ে আছেন, নাকি না খেয়ে আছেন? বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন? আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। একটা মানুষ ১৪ টা দিন নিখোঁজ হয়ে থাকতে পারে না। গত ২৭ আগস্ট রাত দশটা থেকে রহিমা বেগমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই রাতে তিনি ঘর থেকে বের হয়ে পানি আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন। মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নারীনেত্রী হাফিজা আক্তার শিরিন, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়নকারী সংস্থার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট এ, মোমিনুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা রুহুল আমিন, আগুয়ান ৭১এর সভাপতি আবদুল্লাহ চৌধুরী, সোনালী দিন প্রতিবন্ধী সংস্থার পরিচালক ইশরাত হীরা প্রমুখ।
প্রসঙ্গতঃ ২৭ আগস্ট রাতে পানি নেওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হন রহিমা খাতুন। রাতে তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেনি। ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা ওই রাতে সম্ভাব্য আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে তাকে না পেয়ে দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। পরেরদিন ২৮ আগস্ট অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আদুরী খাতুন দৌলতপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৫। দৌলতপুর থানা পুলিশ ইতোমধ্যে সন্দেহভাজন ৫ জনকে আটক করে রিমান্ডে এনেছে।
নিখোঁজ রহিমা বেগমের পরিবারের একটি সূত্র জানায়, বছরখানেক পূর্বের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হাতে হামলার শিকার হন রহিমা বেগম এবং তার এক কন্যা।