ভোলার দৌলতখানে রত্না বেগম (১৯) নামে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নববধূকে হত্যা করার সংবাদ পাওয়া গেছে। পুলিশ হত্যার অভিযোগে স্বামী রাসেল ও শাশুড়ি নিলুফা বেগমকে আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দুপুরে উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের রতন বেপারীর বাড়িতে। স্থানীয় ও রত্নার পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৭ মাস আগে একই উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের নসু বেপারীর মেয়ে রত্নার সাথে চরখলিফা ইউনিয়নের আলাউদ্দিন বেপারীর ছেলে রাসেলের বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে রত্নার স্বামী ও শাশুড়ি যৌতুক হিসেবে টাকার জন্য তার উপড় অত্যাচার ও নির্যাতন করত। রত্নাকে বিভিন্ন সময় স্বর্ণালংকার ও টাকার জন্য তার শ্বশুর বাড়ি থেকে চাপ দেওয়া হতো। রোববার হত্যার ঘটনার দিন সকালে নিহত গৃহবধূ রত্না বেগম তার বাপের বাড়িতে যেতে চাইলে স্বামী রাসেল ও শ্বাশুড়ি মিলে যৌতুকের দাবীতে রত্না বেগমকে তার বাপের বাড়িতে যেতে বাধা দেয়। ঘটনার একপর্যায়ে নিহত রত্নার স্বামী রাসেল ও শ্বাশুড়ি নিলু বেগম শ্বাসরোধ করে রত্নাকে হত্যা করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত রত্নার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এদিকে দৌলতখান থানায় রত্নার স্বামী রাসেল ও তার মা নিলুফা জানায়, মোবাই ফোন নিয়ে রত্না তাদের অগোচরে কোথাও কথা বলায় তাদের সন্দেহ হয়। মোবাইলের বিষয় রত্নার সাথে ঝগড়াও হয়। মোবাইলের কারণে রত্না তাদের দৃষ্টির আড়ালে ঘরের ফ্যানের সাথে অভিমানকরে আত্মহত্যা করে। রত্না আত্মহত্যা করেছে না তাকে হত্যা করেছে ঘটনাটি তদন্ত করলেই প্রকৃত রহস্য বের হয়ে আসবে। দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ভোলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।