জনবল কাঠামো ও নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন সহ ৫ দফার দাবিতে সোমবার কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা সহ তিন উপজেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে (পিআইও) চলছে অর্ধদিবস কর্ম বিরতি। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেবা নিতে এসে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জনগণ। সোমবার সকাল থেকে এই কর্ম বিরতি শুরু হয়েছে। জানা যায়, সকাল ৯ টা থেকে উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কাজ বন্ধ করে কর্ম বিরতি পালন করছেন। এই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা জনগণ পিআইও অফিসে সেবা না পেয়ে জনগণ বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। বাজিতপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল হক যায় যায় দিন কে জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২এ কার্যকর হয়েছে। কিন্তু ১০ বছর পার হয়ে গেলেও বাস্তবে রূপ ধারণ হচ্ছেন। অথচ এই আওতায় কর্মরত জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা (ডিআরআরও) ও উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের জনবল কাঠামো এখনো পর্যন্ত নিয়োগবিধি অনুমোদন হয়নি এই পর্যন্ত। পদ দুটির আপগ্রেডেশন প্রস্তাব পড়ে আছে মন্ত্রনালয়ে। এর ফলে ডিআরআরও-পিআইওরা কাঙ্খিত সুবিধা পাচ্ছেন না। তিনি আরও বলেন, জলোচ্ছাস, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প সহ দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না সাধারণ জনগণ। কিন্তু দুঃখের বিষয় বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ২০২২ সালে ও অবহেলিত এবং বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর টিকিয়ে রাখার স্বার্থে ১২ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অধ্যদিবস কর্ম বিরতি চলছে। জনবল অবকাঠামো ও নিয়োগবিধির দাবিতে ৫ দফা এই কর্ম বিরতি। গত সোমবার বাজিতপুর দুর্যোগ ব্যবস্থা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পিআইও কর্মচারীরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তাদের পদ মর্যাদা না থাকায় ব্যবস্থাপনা সঠিক লক্ষ্যে এখনো পৌছতে পারেনি। তাই দেশের যে কোনো কঠিন দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২ আলোকে জনবল কাঠামো বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে তাদের দাবি।