ইয়াবার ভয়ংকর থাবা ক্রমেই গ্রাস করছে উপজেলার তরুণ ও যুবসমাজকে। উঠতি বয়সী এই তরুণরাই এর বড় শিকার। একসময় এই ইয়াবা ছিল-ঢাকা গুলশান বনানীতে, দামী মাদক হিসাবে। বর্তমানে রাজধানী থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত গ্রামঞ্জলে বিস্তার লাভ করেছে এই ইয়াবা। হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবা।
সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা বারবার মাদকের বিষয়ে "জিরো টলারেন্স'র কথা বললেও এখন পর্যন্ত মাদক ব্যবসা বিশেষ করে ইয়াবা ব্যবসার পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
স্থানীয় সুশীল সমাজের বুকভরা আক্ষেপ ও উদ্ভিগ্ন নিয়ে বলতে শুনা যায়, উপজেলার মাধ্যমিক স্কুল পড়োয়া শিশুদের সুরক্ষা দিতে পারছেন না মাধ্যমিক স্কুল কতৃপক্ষরা, প্রায় প্রতিদিনই সদর বিদ্যায়ের আনাচে কানাচে ইয়াবার ছড়াচরি, মোবাইল আসক্ত, আড্ডা, ছুটাছুটি, স্কুল কর্তৃপক্ষগণেরা যেনো উদাসীন। গত মাসের আইন শৃঙ্খলা মিটিং এই বিষয়টিকে নিয়ে তুমুল আলোচনা হওয়া সত্ত্বেও দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেই। এসব উদাসীনতা দক্ষতার বিচারে অদক্ষতাই প্রমাণিত হয়! তা না হলে শিক্ষাঙ্গনে এসব মাদক আড্ডা চলে কেমনে?
এদিকে প্রশাসনের মন্তব্য, তারা নাকি মাদক অভিযানে তৎপর রয়েছেন এবং চালিয়েই যাবেন, অথচ প্রতিদিনেই দেখা যায় সীমান্ত থেকে খেয়ে আসা মাদকখোরদের মাতলামীর দৃশ্য। এই যদি হয় মাদকের অভিযান, তবে অদুর ভবিষ্যৎতে এই তরুণ যুবসমাজ রহীঙ্গাদের মত মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে সামাজিক অবস্থা।