গাজীপুরের কালীগঞ্জে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মাহাতির মোহাম্মদ (২৪) হিমেল খান নিহতের ঘটনাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ তুলছেন মাদ্রাসার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি শনিবার দুপুরে উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের নগরভেলা আল-কাউছার হাফিজীয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ঘটেছে।
নিহতের মামা শামীম আহমেদ ও স্বজনরা জানান, গাজীপুর মহানগর ৪২নং ওয়ার্ড হারবাইদ এলাকার নন্দী বাড়ীর সৌদি প্রবাসী কবির খানের ছেলে মাহাতির মোহাম্মদ হিমেল খান কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের নগরভেলা মাদ্রাসা ও এতিমখানায় হেফজ বিভাগে লেখাপড়া করত। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হিমেলের পরিবার খবর পায় হিমেল পুকুরে ডুবে মারা গেছে। পরে তার পরিবারের লেঅকজন মাদ্রাসায় এসে হিমেলের মৃত দেহ দেখে রাত আনুমানিক ৬টার দিকে কালীগঞ্জ থানা পুলিশে সংবাদ দেয়। পরে পুলিশ মাদ্রাসায় এসে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে ঘটনার পর থেকে ইয়াসিন নামের এক শিক্ষক পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী করা হচ্ছে মাদ্রাসার শিক্ষকরা তাকে পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দিয়েছে। পরে তারা হিমেল পানিতে ডুবে মারা গেছে বলে হত্যার ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিহতের লাশের ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। নিহতের লাশের ময়না তদন্ত শেষে রোববার বিকেলে পূবাইল থানার হারবাইদ নন্দী বাড়ি তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়।
আল কাউছার হাফিজীয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন মামুন বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। এ ঘটনায় আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। তদন্ত পূর্বক নিহত ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা উদঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনিসুর রহমান বলেন, এ-সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।