হাতের মেহেদীর রং মুছার আগেই যশোরের মণিরামপুরে ফাতেমা খাতুন (১৬) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বামী-শ্বশুর দুজনকে আটক করেছে পুলিশ-র্যাব সদস্যরা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মণিরামপুর পৌর এলাকার দূর্গাপুর গ্রামে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ে হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দূর্গাপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে সোহান হোসেন (২২) রোববার রাতে স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তাকে পিটিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তাকে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা প্রচার চালানোর চেষ্টা করে এবং বিষয়টি ভিন্নখাতে নিতে ফাতেমাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। অভয়নগর উপজেলার জিয়াডাংগা গ্রামের ইয়াছিন শেখের মেয়ে ফাতেমা খাতুন। মাস তিনেক আগে প্রেমের সম্পর্ক সূত্রে তাদের বিয়ে হয়।
জানাযায়, ফাতেমার স্বামী সোহান হোসেন একজন মাদকসেবী যুবক। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকার দাবীতে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ চলতো। রোববার রাতে তিনলক্ষ টাকার দাবী নিয়ে ঝগড়া বাঁধে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। একপর্যায়ে ফাতেমাকে মারপিট এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিহতর শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এদিকে ঘটনাকে আড়াল করতে ওই রাতে তাকে হত্যার পর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় ঘাতক স্বামী সোহান হোসেন।
উপজেলা প. প. কর্মকর্তা ডা. তন্ময় বিশ্বাস জানান, দূর্গাপুরের গৃহবধূ ফাতেমাকে মৃত. অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত ফাতেমার পিতা ইয়াছিন শেখ বাদি হয়ে মণিরামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ তার স্বামী সোহান হোসেনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-ই-আলম সিদ্দিকি। অপর একটি সূত্র জানায় র্যাব-৬ যশোরের সদস্যরা ফাতেমার শ্বশুর মিজানুর রহমানকে আটক করেছে। পুলিশ ফাতেমার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।