ন’টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ও সমমানের চলতি বছরের পরীক্ষা অবশেষে ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে। করোনা ও বন্যার কারণে দীর্ঘ দিন আটকে ছিলো এ পরীক্ষা। প্রতি বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য কোচিং সেন্টার গুলো বন্ধ রাখা হয়। এ বছরও ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোম্বর পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। এবারে সব বোর্ড মিলিয়ে পরীক্ষার্থী মোট ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন। পরীক্ষা হবে ৩ হাজার ৭৯০ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শুধু এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ। গত বছরের তুলনায় এবার ২ লাখ ২১ হাজার পরীক্ষার্থী কমেছে। গত বছরে এসএসসি পরীক্ষা মাত্র ৩ বিষয়ে হয়েছিল এবং ৯৩ শতাংশের বেশি পরীক্ষার্থী পাস করেছিল। করোনার কারণে গত বছর এভাবে পরীক্ষা নেওয়া হয়।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার পরীক্ষার্থী কমে যাবার কারণ হিসেবে বলছেন,প্রতিবছরই নিয়মিত ও অনিয়মিত মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু গত বছর মাত্র ৩ টি বিষয়ে পরীক্ষা নেবার ফলে ৯ শতাংশের বেশি পরীক্ষার্থী পাশ করায় এবছর অনিয়মিত পরীক্ষার্থী একেবারেই কম। আবার প্রতি বছরই কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী নিবন্ধন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেয় না।
প্রতিবছর সকাল ১০ টায় পরীক্ষা শুরু হবার রেওয়াজ থাকলেও এবার যানজটের কথা বিবেচনা করে পরীক্ষা সকাল ১১ টায় শুরু করার কথা। তবে পরীক্ষার্থীদের আগের মতোই পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে হবে ৩০ মিনিট আগে। অনিবার্য কোনো কারণে যদি পরীক্ষার্থী নিদিষ্ট সময়ে কেন্দ্রে ঢুকতে না পারে, তারপরও তাকে ঢুকতে হলে তার নাম, রোল নম্বর, দেরির কারণ ইত্যাদি একটি নিবন্ধন খাতায় লিখে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডকে জানতে হবে। এবারের এসএসসি পরীক্ষা তিন ঘণ্টা নয়, দু’ ঘণ্টা হবে পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে আর কোন সেট প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হবে, তা পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে মুঠোফোন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জরুরি যোগাযোগের কারণে শুধু কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা যাবে না, এমন একটি মুঠোফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
এসএসসি পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নকল মুক্ত ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিরুদ্ধে সরকার যে ব্যবস্থাগুলো নিয়েছে তা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলা যায়। পরীক্ষার্থীরা বার বার প্রস্তুতি নিয়েও যথাযথ ভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় কিছুটা হতাশ হলেও আমরা মনে করি তারা তাদের মনোবল শক্ত করে পরীক্ষায় অংশ নেবে এবং কাক্সিক্ষত ফলাফল অর্জন করবে। আমরা তাদের সফলতা কামনা করছি।