বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার খড়মখালী গ্রামের প্রায়তঃ শষ্ঠিচরন হালদারের যুদ্ধ কালিন মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প ভবন সংলগ্ন বাওয়ালী বলেশ্বর সড়কটি প্রায় এক যুগ ধরে সংস্কার হয়নি। চিতলমারী সদর উপজেলা থেকে গরীবপুর তিন রাস্তা মোড় পর্যন্ত এই সড়কটি নির্মিত হয় ২০০৬/২০০৭ সালের দিকে; (যার কোড নং-২০১১৪৪০০৯)। এই দীর্ঘ সময় সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় সাধারন মানুষের চলাচলের জন্য একে বারেই অকেজো হয়ে পড়েছে।
০৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) বিকেলে ভগ্নদশা এই সড়কটি সংস্করের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগি এলাকাবাসি। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য চরবানিয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান অর্চনা বড়াল ঝর্ণা, স্থানীয় ইউপি সদস্য শচীন্দ্রনাথ শিকদারসহ এলাকার সুধীজনের সুপারিশ ক্রমে উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর একটি দরখাস্ত প্রদান করেছেন।
জানাগেছে, উপজেলা সদরে যাতায়তের জন্য প্রায় ৫/৬টি গ্রামের স্কুল-কলেজ,মাদ্রাসা পড়-য়া শিক্ষার্থীদের একমাত্র মাধ্যম এই রাস্তাটি। অপর দিকে সবজি প্রধান কৃষিজমি হওয়ার কারণে এলাকার প্রান্তিক কৃষদের এই রাস্তা দিয়ে কৃষিপণ্য নিতে হয় সদর উপজেলার বাজারসহ বিভিন্ন মোকামে। কিন্তু রাস্তার বেহল দশায় তারা সঠিক সময় বাজার ধরতে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছেন। এখানে মুমুর্ষ রোগী নিয়ে দ্রুত যেতে হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। যথা সময় যেতে হয় অফিস আদালতে। কিন্তু যাতায়ত ব্যবস্থা এতই নাজুক যে, পায়ে হাঁটা ছাড়া বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই।
এলাকাবাসি জানায় ২০০৮ সালে রাস্তাটি সংস্করের পর থেকে অদ্যবোধী কোন মেরামত হয়নি। রাস্তার কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দে রুপ নিয়েছে। দু’পাশের মাটি সরে গিয়ে ভেঙ্গে পড়েছে। মাঝখানে ছোট-বড় গর্ত হয়েছে। ইট,খোয়া-বালি বেরিয়ে গিয়ে কাঁদা-মাটির গর্তে পানির জমাট বেধেছে।
এখানকার যোগাযোগের মাধ্যম নছিমন, করিমন, ব্যাটারিচালিত অটো, ভ্যান ও মোটরসাইকেল হলেও। বর্তমান ওই বাহনের সবগুলোই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
এব্যপারে চরবানিয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান অর্চনা বড়াল ঝর্ণা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইয়েদা ফয়জুন্নেছাও উপজেলা প্রকৌশলীর প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকার ভুক্তভোগি সাধারন মানুষ।