বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান সভাপতি, সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জোবাইদুর রহমান গামা (৫৩)কে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ধারায় ৬ বছর কারাদণ্ড ও অর্থদন্ড করেছে আদালত। ১৪ সেপ্টেম্বর রাজশাহী সাইবার ক্রাইম আদালতের বিচারক মোঃ জিয়াউল হক এই রায় প্রদান করেন।
একাধিক সুত্র ও মামলার বাদী গাবতলী উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ি গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত মাহফুজার রহমান তালুকদার টুলুর ছেলে মোঃ জিয়াউর রহমান টুটুল তালুকদার জানান, আমি নশিপুর ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন করার জন্য সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে ঘোষনা দেয়ার পর, আমাদের একই গ্রামের পিতা মৃত মোখলেছুর রহমান তালুকদার’র ছেলে নশিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, বর্তমান নশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ জোবাইদুর রহমান গামা ক্ষিপ্তহয়ে ওঠে। সে ইউটিউব থেকে একটি অশ্লীল ছবি ডাউন লোড করে তার (টুটুল) মুখের ছবি সংযুক্ত করে। জোবাইদুর রহমান গামা তার, নিজের ফেসবুক আইডি থেকে সেই অশ্লীল ভিডিও ফেসবুকসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেয়।
বাদী জিয়াউর রহমান টুটুল তালুকদার সে পুরান বগুড়ায় অবস্থিত জিবিবি পাওয়ার লিঃ পিডিবি কম্পাউন্ড অফিসে ম্যানেজারের চাকুরী করেন। তিনি বিভিন্ন লোকমুখে জানতে পারেন তার নামে ফেসবুকে অশ্লীল ভিডিও ছাড়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য, বদী ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে সকালে কর্মস্থলে বসে এই অশ্রীল ভিডিও দেখে হতবাক হয়েযান। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী বগুড়া সদর থানায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ধারায় জোবাইদুর রহমান গামাকে প্রধান আসামি করে, অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনের একটি মামলা করেন। পুলিশ গামাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়।
এই মামলাটি রাজশাহী সাইবার ক্রাইম আদালতে দীর্ঘ শুনানী, স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহন ও ভিডিও ফুটেজের তথ্য’র ভিত্তিতে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ দুপুর ১২ টায় বিচারক মোঃ জিয়াউল হক রায় ঘোষনা করেন। রায়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় বিএনপিনেতা সাবেক চেয়ারম্যান জোবাইদুর রহমান গামাকে ২০১৮ এর ২৩ (২) ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড তৎসহ ১ লাখ টাকা জরিমানা, আনাদায়ে বিনাশ্রম ৩ মাস কারাদন্ড, ২৫ (২) ধারায় ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড তৎসহ ১ লাখ টাকা জরিমানা, আনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড, ২৯ (২) ধারায় ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড তৎসহ ১ লাখ টাকা জরিমানা, আনাদায়ে ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। সাজা একটার পর অন্যটা কার্যক্রর হবে। এই মামলার সংশ্রবে আসামীর হাজতবাস মুল কারাদণ্ড হতে বাদ যাবে। মামলার আলামত রাষ্ট বরাবরে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মামলার বাদী জিয়াউর রহমান টুটুল তালুকদারের দেয়া আদালতের তথ্য থেকে আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।