সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বলাবাড়িয়া গ্রামের লাবণ্য কুমার মন্ডল ও পলাশ কুমার সরকার প্রতারনার শিকার হয়েছেন দাবী করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিকার প্রার্থনা করেছেন।
প্রতারিতরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, বলাবাড়িয়া আমজাদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অবৈধ কমিটির মাধ্যমে অর্থ বাণিজ্য ও স্বজনপ্রীতির নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হলে প্রথম দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। কিন্তু পুনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সকলের আবেদনের সুযোগ না দিয়ে গোপনে ১৩ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার দির ধার্য করা হয়। এর প্রতিবাদে মানবন্ধন ও বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন এবং সর্বোপরি মহামান্য হাই কোর্টে রিপ পিটিশনের কপি বিভিন্ন দপ্তরে হাতে হাতে প্রদান, মোবাইলে যোগাযোগ ও অন লাইনে প্রেরন করা হলেও নিয়োগ বন্ধ করা হয়নি। পরীক্ষার কার্ড পেয়ে লাবন্য ও পলাশ পরীক্ষা কেন্দ্রে ৮.৩০ টায় যায়। নির্ধারিত সময় ৯ টায় পরীক্ষা নেয়া হয়নি। ১১ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিজন কুমারন বাছাড়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি হাই কোর্টে রিট হয়েছে পরীক্ষা নাও হতে পারে বলে জানালে তারা ফিরে আসতে বাধ্য হয়। প্রধান শিক্ষকের কন্যা কৃষ্ণা রানী সানা, সভাপতির ভাইপো তন্ময় সরকার ও তাদের আত্মীয়কে স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম ও অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হবে এ কথা আমরা কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই বলে আসছি। পরীক্ষার পর এখন আমাদের অভিযোগ সত্য প্রমানিত হয়েছে। সুতরাং দুর্নীতি অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে সকলের অংশ গ্রহনের সুযোগ দিয়ে পুনরায় পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।