প্রায় ২ বছর পর অনুষ্ঠিত হওয়া এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে ছিল অভিবাবকদের উপচেপড়া ভীড়। মণিরামপুরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিন ১৭৭ জন জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। চলতি পরীক্ষায় উপজেলার ১৩টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৫ হাজার ১২০ জন। এরমধ্যে দাখিল পরীক্ষার্থীর অনুপস্থিতি ছিল বেশি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ১১টি কেন্দ্রে ৩ হাজার ৯৫৬ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও কারিগরি এবং ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা থাকলেও ৪৮ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। এতে অনুপস্থিতির হার ছিল ১.২১% জন। অপর দিকে উপজেলার ২টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১৬৪ জন জন শিক্ষার্থীর দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন ১২৯ জন। এতে অনুপস্থিতির হার ছিল ১১.০৪% জন।
দাখিল পরীক্ষার ২ কেন্দ্রের মধ্যে মণিরামপুর ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৫২ জন শিক্ষার্থী অনুপিস্থত ছিলেন এবং রাজগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৭৭ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। অপর দিকে উপজেলার মণিরামপুর সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ১০ জন, সরকারি বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪ জন, রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪ জন, শহীদ স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ জন, নেহালপুর স্কুল এ- কলেজ কেন্দ্রে ১ জন, মশিয়াহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪ জন, পাঁবাড়িয়া-পাঁচকাটিয়া মাধ্যমকি বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪ জন, পলাশি মাধ্যমকি বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ জন, রাজগঞ্জ ভোকেশনাল কেন্দ্রে ৪ জন এবং মশিয়াহাটি মহিলা টেকনিক্যাল স্কুল এ- কলেজ কেন্দ্রে ৩ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন বৈরী আবহাওয়া থাকার পরও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যথা সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আলী হাসান জানান, দাখিল পরীক্ষার্থীর অনুপস্থিতির বিষয়টি খোঁজ-খবর নেয়া হবে।