মুলাদীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মালামাল অবৈভভাকে বিক্রির সময়ে আটক করেছেন স্থানীয়রা। উপজেলার ৬নং চরবাটামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতাউর রহমান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ছুটির দিন শুক্রবার ওই বিদ্যালয়ের মালামাল বিক্রি করে দেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও ম্যানেজিং কমিটিকে না জানিয়ে প্রধান শিক্ষক মালামাল বিক্রি করে আত্মসাতে চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। বিদ্যালয় থেকে মালামাল নেওয়ার সময় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. সাখাওয়াত মৃধা ও স্থানীয়রা ক্রেতাদের আটক করলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে দেন দরবার চলছিলো। মো. সাখাওয়াত মৃধা জানান, চরবাটামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতাউর রহমান বিদ্যালয়ের পুরাতন দরজা, বেঞ্চ, চেয়ার টেবিলসহ বিভিন্ন মালামাল গোপনে বিক্রি করে দেন। শুক্রবার দুপুরের দিকে ক্রেতারা প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে ভ্যান গাড়িতে করে তিনবার মালামাল নিয়ে যান। চতুর্থ বার মালামাল নিয়ে বিদ্যালয়ের সামনে এলে স্থানীয়দের নজরে পড়ে। পরে মালামালসহ ক্রেতাদের আটক করে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে সংবাদ দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের পুরাতন মালামাল বিক্রির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এমনকি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা/সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার কাছ থেকেও অনুমতি নেওয়া হয়নি। প্রধান শিক্ষক মো. আতাউর রহমান গোপনে বিদ্যালয়ের মালামাল ফেরিওয়ালাদের কাছে বিক্রি করে আত্মসাতের চেষ্টা করেছিলেন। স্থানীয়রা আটক করে বিষয়টি আমাকে এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন। পরে ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে মালামাল ফিরিয়ে এনে বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীর জিম্মায় রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে। উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রিয়াজ আলম বলেন, সরকারি মালামার কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিক্রির কোন সুযোগ নাই। কেউ অবৈধভাবে বিক্রি করে আত্মসাতের চেষ্টা করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতাউর রহমান মালামাল অবৈধভাবে বিক্রির বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ে রাখা পুরাতন মালামালগুলো বিক্রির বিষয়ে আমার কিছুই জানা নাই।