গ্রিক লোককথায় ক্রিটের আঁকজমকশীল সভ্যতার রাজা মিনোসের প্রাসাদের বর্ণনা রয়েছে। আর্থার ইভান্স ১৮৯৯ সালে যখন এই অজানা ক্রিট সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ বের করতে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেন তখন এর নাম দেন মিনোয়ান সভ্যতা।
অন্য কোন ইউরোপীয় সভ্যতার বহু আগেই ব্রোঞ্জ ব্যবহারকারী এই দ্বীপের মানুষ একটি উন্নত সভ্যতা গড়ে তুলেছিল। তাদের জাহাজ আশপাশের সমুদ্রগুলো নিয়ন্ত্রণ করত বলে দ্বীপবাসীর শত্রুর ভয় ছিল না। কাজেই তারা কোন দুর্গ নির্মাণ করেনি। তারা যাপন করত বিলাসময় জীবন। খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ অব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় তাদের রাজধানী ক্লসস।
মিনোয়ানদের ভাষায় লেখা দুশয়ের মতো কাদামাটির টালি পাওয়া গেলেও সেগুলোর পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়নি। তাদের ভাষার নাম দেয়া হয়েছে লিনিয়ার-এ। সস প্রতিষ্ঠার প্রায় তিনশ বছর পর গ্রিকভাষীরা এই দ্বীপে আসে। তাদের লেখা কয়েক হাজার টালি পাওয়া গেছে। এগুলো পাঠোদ্ধার করাও সম্ভব হয়েছে। এই ভাষার নাম দেয়া হয়েছে লিনিয়ার -বি। ১৯৫২ সালে এই লিপির পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়; দেখা গেছে এটি গ্রিক ভাষার অতি প্রাচীন ফর্ম বা ধরন।
খ্রিস্টপূর্ব ১৪০০ অব্দে আগুন লেগে ক্লসস নগরী ধ্বংস হয়ে যায়। দ্বীপটি পরে দক্ষিণ গ্রিসের নগরী মাইসিনির শাসন-ধীনে চলে আসে।