বাগেরহাটের চিতলমারীতে পুর্বশত্রুতার জের ধরে হত্যার উদ্দেশে এক যুবককে ধারালো রামদার কোপে মারাত্মক জখম করার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলাকে কেন্দ্রকরে অসামী পক্ষ পরিকল্পিত ভাবে একটি মিথ্যা মামলা রুজু করেছেন। তবে রুজুকৃত মামলার ভিকটীম বলছেন এই মামলার বাদীহতে অস্বীকৃতি জানালে কখন তাকে ভিকটীম করা হয়েছে তা তিনি জানেনা।এক নম্বর আসামীর বাড়ীতে গিয়ে মামলার নকল দেখে তিনি ব্যথিত হয়েছেন। আর ঘটনাটি ঘটেছে চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামে।
বড়বাড়িয়া গ্রামের ইলিয়াস খানের ছেলে রাজিব খান জানান, ০৪ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১২টায় তার ভাই নুর ইসলাম খানও তার খালু দিদার মুন্সী তাদের মৎস্যঘেরে ঘুরতে যান। এ সময় বড়বাড়িয়া গাংপার গ্রামের মৃতঃ আকতার উকিলের ছেলে হোসেন উকিল, মৃতঃ বেল্লাল উকিলের ছেলে মাইনুর উকিল, মৃতঃ হায়াত আলী শেখের ছেলে বশার শেখ, বাদশা শেখের ছেলে হাবিবুল্লাহ শেখ, মৃতঃ টুকু উকিলের ছেলে রিপন উকিল পাশের মাসুম মোল্লার মাছের ঘেরের কুঁড়েঘরে মাদক সেবন করতে ছিলো।
এসময় নুর ইসলাম তাদের মাদক সেবনের বিরোধিতা করেন। বিরোধিতার মুখে হোসেন উকিলের নের্তৃত্বে মাদকাসক্তরা নুর ইসলামের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এবং হোসেন উকিলের হাতে থাকা রামদা’ দিয়ে নুর ইসলামের মাথায় সজোরে কোপ মারে। নুর ইসলাম এ সময় রক্তত্ত জখম হন। অন্য মাদকসেবীরাও তাকে লাঠিসোটা দিয়ে বেপরোয়া মারপিট করে।
ঘটনাটি স্বজনরা জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চিতলমারী থানায় নিয়ে জান পরে উপজেলা হাসপাতালে গেলে রোগির অবনতি হওয়ায় পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এব্যপারে গত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২তারিখ চিতলমারী থানার মামলা নং-৪ রুজু হলেও ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ প্রতিপক্ষরা মনির খানকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের বিরুদ্ধে জনৈক হাসান উকিল একটি কাউন্টার মামলা রুজু করেন।
এই মামলার ভিকটীম শহীদ শেখ জানান, তাকে মামলাটি করার জন্য প্রস্তাব দেয়া হলেও তিনি তা অস্বীকার করে ছিলেন। পরবত্তীতে তাকে ভিকটিম বানানো হয়েছে কিনা তা তিনি জানেননা। শহীদ শেখ ১৫ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে মনির খানের ঘরে বসে মামলার নকলের কপি পড়ে নিশ্চিত হন যে, তাকে ভিকটিম করা হয়েছে। এতে তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন।