রংপুরের পীরগঞ্জে পীরোত্তর বড় পীর সাহেব ওয়াকফ এস্টেটের ৬ একর, ৭০ শতাংশ জমি ১৬ বছর ধরে অবৈধভাবে ভোগ দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের পত্নীচড়া গ্রামে। ভুক্তভোগী, এলাকাবাসী ও রংপুর ওয়াকফ পরিদর্শক কার্যালয় সূত্র জানায়, বিগত ২০০৩ সালে সরকারি বিধি মতে আবেদনের প্রেক্ষিতে পত্নীচড়া গ্রামের মৃত আবদুল গফুর মিয়ার পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান রেজাকে মোতাওয়াল্লী সেক্রেটারি ও তার ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিকে তিন বছরের জন্য(২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত) পীরোত্তর বড় পীর সাহেব ওয়াকফ এস্টেট- রং, ইসি নং- ১৯২৫৭ এর সম্পত্তি পরিচালনার দায়িত্ব দেয় ওয়াকফ কর্তৃপক্ষ। তিন বছরের জন্য অনুমোদন নিলেও গত ১৬বছরে কোন প্রকার ওয়াক্ফ চাঁদা ও এষ্টেটের আয় ব্যায়ের হিসাব দাখিল করেনি যা ওয়াক্ফ প্রশাসক আইনে পরিপন্থী। বর্তমান প্রস্তাবিত রায়হান গং কমিটি ২০২২-২০২৩ অর্থ বছর পর্যন্ত বকেয়া ৩২ হাজার ৬৩০টাকা ওয়াক্ফ চাঁদা দাখিল করেছেন। পুর্বের কমিটি ৩ বছর অতিবাহিত হলেও আর কোন অনুমোদন না নিয়ে অবৈধভাবে এষ্টেট পরিচালনা করে। পরবর্তীতে ওই পতিœচড়া মৌজাবাসী শিমুল মিয়াকে সভাপতি ও রায়হানকে সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে পীরোত্তর বড় পীর সাহেব ওয়াকফ এস্টেটের ওই সম্পত্তির মোতয়াল্লি অনুমোদনের জন্য ওয়াকফ প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর রংপুর অঞ্চলের ওয়াকফ পরিদর্শক নুরুজ্জামান সরেজমিনে তদন্তে আসেন। তদন্ত শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই এষ্টেট সম্পুর্ন নিয়ম বহিরভুর্তভাবে পরিচালনা করছেন পূর্বের কমিটি মোতয়াল্লী মোস্তাফিজুর রহমান। ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল থেকে তিন বছরের জন্য কমিটি দেওয়া হয়েছিলো ২০০৬ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত সে কোন এই এষ্টেটের কমিটির মেয়াদ না বাড়িয়ে নিজে একক ভাবে এষ্টেট পরিচালনা করেছে। এতে তিনি বিপুল পরিমান অর্থ তছরুপ করেছেন মর্মে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তছরুপকৃত অর্থের পরিমান নির্ণয় ও মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।