হাইমচর উপজেলার ৪ নং নীল কমল ইউনিয়নের সাবেক প্রভাবশালী চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ সালাহ উদ্দিন সরদার ডাকাতির মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের জুলাই মাসের ২ তারিখ একটি ডাকাতির ঘটনায় মোহনপুর থানায় ট্রলার মালিক সাদ্দামের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি ডাকাতি মামলা হয়। মামলা নং ৩/১৩৮ তাং - ২/৭/২০২১।
ঐ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি সোহাগ বেপারী পুলিশি জিঞ্জাসাবাদে ডাকাতির ঘটনায় ৪ নং নীলকমল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানকে অন্যতম আসামি হিসেবে স্বাকারোক্তি দিলে, তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার মতলব উত্তর মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সালাহ উদ্দিন সরদারকে আটক করে।
এ বিষয়ে মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক বাবুল বালা সাংবাদিকদেরকে জানান, সাবেক চেয়াম্যান সালাহ উদ্দিন সরদারকে একটি ডাকাতির মামলায় আটক করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে প্রেরন করা হয়।
সালাহ উদ্দিন সরদারের গ্রেপ্তারের সংবাদে মহুর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধামে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে সাবেক এই চেয়ারম্যান যেসব অপকর্ম, অনিয়ম দুর্নীতি করেছেন এবং ঈশানবাল চরের জায়গা জমি জবর দখল করাসহ মানুষের উপর নানাবিদ নির্যাতনের চিত্রও ফুটে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্যে তিল তিল করে গড়ে উঠা হাইমচর প্রেসক্লাবের বিভক্তির সাথেও জড়িত এ সালাহউদ্দিন। আজ তার বিপদে সেই দখলকরা প্রেসক্লাবের সদস্যরাও ফলাও করে গুরুত্বের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ডাকাতি মামলাকে প্রচার করছে। কেউ কেউ আবার লিখছে -" পাপ বাপকেও ছাড়েনা "।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, সালাউদ্দিন চেয়ারম্যান হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারীর প্রভাবে হাইব্রিড আওয়ামী লীগ হিসেবে
তার ইউনিয়নের চর এলাকা একক নিয়ন্ত্রণ করে অল্প সময়ের মধ্যে গাড়ি-বাড়ি নদীতে স্পিডবোর্ড সহ বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেছেন।
সরকারি দলের নেতা এ কারণে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি।
গেল ইউপি নির্বাচনে সালাউদ্দিন সরদারকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাছে বিপুল ভোটে হেরে যান।