জামায়াত নেতাকে কৌশলে বানানো হয়েছে সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক। এ ছাড়া যুবদল নেতা হত্যা মামলার আসামিকে একই কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। ফলে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ফলশ্রুতিতে সদ্য ঘোষিত সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি প্রত্যাখ্যান করে দ্বিতীয়দিনের ন্যায় রোববার সকালে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সদর উপজেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বে নগরীর সদর রোডে বিক্ষোভ মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের পূর্বে বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা জেলা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মজিবুর রহমান নান্টু ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন মেবুলের ছবিতে ঝাড়- দিয়ে আঘাত করেন।
চরবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি জিয়াউল ইসলাম সাবু বলেন, সদ্যঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মোঃ নুরুল আমিন একসময়ের প্রভাবশালী জামায়াত নেতা এবং সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম সেলিম যুবদল নেতা হত্যা মামলার আসামি। তিনি আরও বলেন, তৃনমূলের মতামত গ্রহন না করে জেলা দক্ষিণ বিএনপির নেতৃবৃন্দরা অগণতান্ত্রিক উপায়ে ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে বির্তকিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে কমিটি গঠণের পর ফেসবুকের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।
এরপূর্বে বির্তকিত কমিটি বাতিল করে তৃনমূলের মতামতের ভিত্তিতে নতুন করে কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। পরে একই দাবিতে জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
এ ব্যাপারে জেলা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মজিবুর রহমান নান্টু বলেন, আগামীতে যারা সরকার বিরোধী আন্দোলনে কাজ করতে পারবে তাদেরকে নিয়েই কমিটি গঠণ করা হয়েছে।