কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের নদ নদীতে ফেলা হচ্ছে প্লাস্টিকের বর্জ্য। এতে করে হুমকিতে রয়েছে জীববৈচিত্র। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে জেলার হাওর উপজেলা ইটনা পুরান বাজারে ৩টি ডাস্টবিন স্থাপন করেছে উপজেলা পরিষদ। উদ্দেশ্য ছিলো হাওরের পানিতে যেন কোনভাবেই ছড়িয়ে না পরে পরিবেশ দূষণকারী প্লাস্টিক জাতীয় কোন ক্ষতিকর বর্জ্য। কিন্তু কাজের কাজ কি হচ্ছে? ডাস্টবিন থাকা সত্যেও যত্রতত্র পানিতে ফেলছে পরিবেশ দূষণকারী এসব প্লাস্টিকের বর্জ্য।
ইটনা পুরান বাজারে নদীর পাশেই ডাস্টবিন, কিন্তু এসব ডাস্টবিন ব্যবহার না করে পাশ দিয়ে বয়ে চলা ধনু নদীতে ফেলছে এসব ক্ষতিকর প্লাস্টিকের বর্জ্য! বাজারের ব্যবসায়ীদের এ বিষয়ে মৌখিকভাবে সতর্ক করলেও আমলে নিচ্ছেনা কেউই। এসব ক্ষতিকর প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যবসায়ীরা যে একেবারেই উদাসীন, তা ইটনা পুরান বাজারের বনিক সমিতির সভাপতির বক্তব্যে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ইটনা পুরান বাজারের বনিক সমিতির সভাপতি সোহরাব উদ্দিন ঠাকুর (খসরু) বলেন, ডাস্টবিনের ময়লা জমানোর পর তা ধ্বংস করতে যখন কিছু জনবল প্রয়োজন হয়, তখন বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে এ কাজের জন্য চাঁদা চাইতে গেলে তা দিতে গড়িমসি করে, যার ফলে এই ডাস্টবিনের যথাযথ ব্যবহার হচ্ছেনা। ময়লা রক্ষণাবেক্ষণ করতে ও তা ধ্বংস করতে কোন তহবিল বাজার কমিটির কাছে নেই।
হাওর প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন হাজারো প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকের আগমন ঘটে এই হাওরে।হাওরের জীববৈচিত্র্যের উপর যেন প্রভাব না পরে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি যদি না রাখা হয়, তাহলে খুব অচিরেই এর জৌলুশ হারিয়ে ফেলবে সে স্বপ্নের হাওর। ভাসমান বর্জ্য শুধু জীববৈচিত্র্যের উপর আঘাত আনবেনা, হাওরের কৃষি জমিগুলোতে কৃষি মৌসুমে জমা হয়ে কৃষকের আরেক বিড়ম্বনার কারণও হবে,তাই হাওরে এসব বর্জ্য ছড়িয়ে পরা প্রতিরোধে এখনই কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি, এজন্য সংশ্লিষ্টদের কঠোর অবস্থানে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সচেতন মহল।
ইটনা মিঠামইন অস্টগ্রাম আসনের সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতিপুত্র রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক এমপি তার ফেসবুকে লিখেন, “স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও”..লিখে একটি স্টেটাস দিলে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ২৬০টি কমেন্ট কমেন্ট করেছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। এ নিয়ে ফেসবুকে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।