কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলামের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের কবল থেকে রক্ষা পেল ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ইতি পারভীন (১৪)। সে উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর গ্রামের শাহিনুর গাজীর মেয়ে ও দক্ষিণ শ্রীপুর কুশুলিয়া স্কুল এ- কলেজের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।
জানা গেছে, উত্তর শ্রীপুর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে ব্যবসায়ী শাহিনুর রহমান তার ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন শ্যানগরের নূরনগর এলাকার এক ছেলের সাথে। রোববার দুপুরে অতি গোপনে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বাল্যবিয়ের বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসী গণমাধ্যম কর্মীদের সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলামকে অবগত করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক ভাবে থানার উপপরিদর্শক আশিষ কুমার ঘোষকে ঘটনাস্থলে পাঠান। একই সময়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অর্ণা চক্রবর্তী সুপারভাইজার জয়দেব দত্তকে বিয়ে বন্ধের জন্য জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নিতে বলেন। বরপক্ষ পৌছানোর পূর্বেই থানার উপপরিদর্শক ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সুপারভাইজার মেয়ের বাড়িতে পৌছান। তবে প্রশাসনের যাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় বিয়ে উপলক্ষে আগত আত্মীয়স্বজন দ্রুত ওই বাড়ি থেকে চলে যান। একপর্যায়ে ইতি পারভীনের পিতাও আত্মগোপন করেন। পরবর্তীতে ইতি পারভীনের মা রাফিজা বেগম অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের বিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং যথাযথ বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দিবেন না মর্মে লিখিত মুচলেকা প্রদান করেন।
বাল্যবিয়ে বন্ধে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।