কনফুসিয়াসের মতো বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তকও এসেছিলেন রাজপরিবার থেকে। তিনি ছিলেন শাক্য বংশের রাজার পুত্র, নাম সিদ্ধার্থ গৌতম; জন্মগ্রহণ করেছিলেন নেপালের লুম্বিনিতে। তার পিতার নাম শুদ্ধোধন ও মাতার নাম মায়াদেবী। ২৯ বছর বয়সের আগ পর্যন্ত তিনি বিলাসবহুল জীবন কাটান, কোন দুঃখ তাকে স্পর্শ করেনি। তিনি বিয়ে করেন, তাঁর এক পুত্র সন্তানও জন্মগ্রহণ করে।
ভ্রমণে বেরিয়ে একদিন তিনি পর্যাক্রমে দেখতে পেলেন এক বৃদ্ধ, এক অসুস্থ ব্যক্তি ও এক মৃত ব্যক্তিকে। এর পরই তিনি ভাবতে শুরু করেন, জীবন কি বার্ধক্য, জরা ও মৃত্যুর এক অন্তহীন চক্র? তখন তিনি ভিক্ষুকের বেশ ধারণ করে সত্যের সন্ধানে ঘুরে বেড়াতে থাকেন। তখনকার বড়ো বড়ো প-িতদের কাছ থেকেও তিনি তার প্রশ্নের কোন সদুত্তর পাননি। অবশেষে স্থির করলেন, তিনি নিজেই এ বিষয়ে চিন্তা করবেন। এক অশ্বত্থ গাছের তলায় গিয়ে তিনি ধ্যানে বসলেন এবং একদিন বোধি লাভ করলেন। সেই থেকে তিনি পরিচিত হলেন বুদ্ধ হিসাবে।
বুদ্ধ অবশিষ্ট দীর্ঘ জীবন তার নবলব্ধ দর্শন প্রচার করে কাটান। বৌদ্ধ ধর্মের মূল কথা হচ্ছে-সকর্ম, সৎসঙ্কল্প, সবাক্য, সৎ চিন্তা, সৎদৃষ্টি সজীবিকা, সপ্রয়ত্ব ও সৎ সমাধি। এগুলো আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ হিসাবে পরিচিত।