বিপুলায়তন ও অপূর্ব নির্মাণশৈলীর জন্য প্রাচীন বিশ্বে সাতটি স্থাপনাকে সপ্তাশ্চর্য হিসাবে গণ্য করা হত। এই স্থাপনাগুলো হচ্ছে- মিসরের পিরামিড, ব্যাবিলনের ঝুলন্ত বাগান, ওলিম্পিয়ায় জিউসের মূর্তি, এফেসাসে আর্টেমিসের মন্দির, হ্যালিকারনাসাসের সমাধি, রোডস দ্বীপের কলোসাস ও আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর।
মিসরের পিরামিডগুলো হচ্ছে সবচেয়ে প্রাচীন; এগুলো নীল নদের পশ্চিম দিকে অবস্থিত। এগুলো পাথরের ব্লক দিয়ে তৈরি; এর মধ্যে সর্ববৃহৎটি খুফুর পিরামিড হিসাবে পরিচিত। নির্মাণের সময় এটি ছিল ৪৮২ ফুট উঁচু।
ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান নির্মাণ করেছিলেন সম্রাট নেবুসাদনেজার। ওলিম্পিয়া পাহাড়ের ৩০ ফুট উঁচু জিউসের মূর্তিটি তৈরি করেছিলেন ফিডিয়াস। এটি নির্মিত হয়েছিল আইভরি ও স্বর্ণ দিয়ে। এফেসাসে আর্টেমিসের মন্দির বিখ্যাত ছিল এর আয়তন ও শিল্পশৈলীর জন্য। অন্যদিকে গ্রিসের হালিকারনাসাসের সমাধির ওপর স্থাপন করা হয়েছিল চার অশ্ববাহিত রথের অনুপম ভাস্কর্য।
রোডস দ্বীপের কলোসাস লোহা দিয়ে তৈরি একশ ফুট উঁচু এক ভাস্কর্য। এটি ছিল দেবতা অ্যাপোলোর মূর্তি। প্রাচীন বিশ্বে সবচেয়ে উঁচু বাতিঘর হচ্ছে আলেকজান্ড্রিয়ার বাতিঘর। এটির উচ্চতা ছিল ৪৪০ ফুট। দূর সমুদ্রের জাহাজের নাবিকদের এটি পথের দিশা দিত।