প্রাচীন বিশ্ব
মানব ইতিহাসের দ্বিতীয় অধ্যায় হচ্ছে প্রাচীন গ্রিস ও রোমের সভ্যতা, যার কাছে। আধুনিক পশ্চিমী সভ্যতা ঋণী। গ্রিসের অ্যাথেনীয় নেতা মহান পেরিক্লিস তার নগর রাষ্ট্রগুলোতে প্রবর্তন করেছিলেন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। তাঁর বিজ্ঞােচিত নেতৃত্বে অ্যাথেনীয়রা শুধু জনগণের সরকার ধারণাকেই উন্নত করেনি, তারা আধুনিক বিজ্ঞান ও দর্শনেরও গোড়াপত্তন করেছিল। তাদের লেখকরা রচনা করেছেন বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ নাটক, তাদের ভাস্কররা সৃষ্টি করেছেন সেরা সব ভাস্কর্য। এই যুগকে আমরা বলি পেরিক্লিসের যুগ।
কালের আবর্তনে প্রাচীন গ্রিস ক্রমে ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ে, যুদ্ধোন্মত্ত নগর রাষ্ট্রগুলো পারস্পারিক প্রতিযোগিতা করে হয়ে যায় বিচ্ছিন্ন এবং পশ্চিমা বিশ্বের ক্ষমতা ও নেতৃত্ব একসময় চলে যায় রোমের হাতে। গ্রিকদের চেয়ে রোমানরা ছিল অনেক বেশি বাস্তববোধসম্পন্ন ও ভাবপ্রবণহীন জাতি। প্রত্যেক নগর রাষ্ট্রকে স্বাধীনতা দেওয়ার বদলে তারা প্রবর্তন করে শক্তিশালী কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থার। এই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনেই রোম স্থাপন করেছিল বিশাল সাম্রাজ্য, উন্নয়ন ঘটিয়েছিল যোগাযোগ ব্যবস্থার, সুদৃঢ় করেছিল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও। এত বড় সাম্রাজ্য আর কোন জাঁতি স্থাপন করতে পারেনি। কিন্তু অভ্যন্তরীণ কোন্দলে রোম সাম্রাজ্যও দুর্বল হয়ে পড়ে এবং উত্তর থেকে আসা বারবারদের আক্রমণে রোম বিধ্বস্ত হয়ে যায়। তবে রোমের প্রাচীন সভ্যতার ধারা টিকে থাকে কনস্টান্টিনোপলভিত্তিক পূর্ব সাম্রাজ্যে।
প্রাচীন যুগ
৪৮০ : প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলোতে নৌচালনা বিদ্যার উন্নতি।
৪৭৬ : ওডোভাকারের নেতৃত্বে গথরা উৎখাত করে রমুলাস অগাস্টাসকে। পশ্চিম রোম সাম্রাজ্যের বিলুপ্তি।
৪৭৫ : রমুলাস অগাস্টাস, পশ্চিম রোম সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট।
৪৭১ : অস্ট্রোগথদের রাজা হলেন মহান মিওডোরিক (৫২৬ সাল পর্যন্ত)।
৪৭০ : কার্থেজীয় নেতা হানো আফ্রিকার উপকূল ধরে সমুদ্রাভিযান চালিয়ে পৌঁছে যান ক্যামেরুন পর্যন্ত।
৪৬৫ : উত্তর ভারতে শ্বেত হুনদের আধিপত্য।
৪৬০ : অ্যাথেন্সে পেরিক্লিসের যুগ (৪২৯ অব্দ পর্যন্ত)।
৪৬০ : প্রথম পেলোপনেশীয় যুদ্ধ (৪৫১ অব্দ পর্যন্ত)।
৪৬০ : পারস্য শাসন করেন প্রথম আর্টাজারব্বাস।
৪৬০ : পারস্যের শাসনের বিরুদ্ধে মিসরীয়দের বিদ্রোহ; অ্যাথেন্সে পেরিক্লিসের যুগ। অ্যাথেন্স ও স্পার্টার মধ্যে প্রথম পেলোপনেশীয় যুদ্ধ।
৪৫৬ : আর্টাজারাস পারস্যের শাসক (৪২৪ অব্দ পর্যন্ত)।
৪৫৫ : ভ্যাণ্ডালরা গেইসেরিকের নেতৃত্বে আক্রমণ করে রোম, চালায় লুটপাট।
৪৫২ : আত্তিলার উত্তর ইতালি অভিযান।
৪৫১ : আত্তিলা অভিযান চালান গল ও ইতালিতে।
৪৫১ : আত্তিলার গল আক্রমণ প্রতিহত করে ফ্রাংক ও রোমানরা।
৪৫০ : পারস্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গ্রিস পরাজিত : গ্রিসের দশ হাজার সৈন্যের পশ্চাদপসরণ।
৪৫০ : প্রথম ঐতিহাসিক হেরোদোতাসের মিসর সফর।
৪৫০ : দ্বাদশ ফলক : এসব কাঠের ফলকেই লেখা হয় রোমের আইন।
৪৫০ : উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলে কার্থেজ নতুন বাণিজ্যকেন্দ্র হিসাবে সমৃদ্ধি লাভ করতে থাকে।
৪৪৯ : জুটরা জয় করে দক্ষিণ ব্রিটেনের কেন্ট।
৪৪৯ : ডেলফির দৈববাণী সম্পর্কে কর্তৃত্বের প্রশ্নে আথেন্স ও স্পার্টার মধ্যে পবিত্র যুদ্ধ।
৪৪৯ : হেঞ্জেস্ট ও হোরসার নেতৃত্বে জুটরা দখল করে দক্ষিণ ব্রিটেনের কেন্ট।
৪৪৭ : অ্যাথেনীয়রা নির্মাণ করতে থাকে পার্থেনন।
৪৪৬ : অ্যাথেন্স ও স্পার্টা মধ্যে ৩০ বছরের শান্তি চুক্তি।
৪৪৫ : জেরুসালেমের দেয়াল পুনর্নির্মাণ করেন নবি নেহেমিয়া।
৪৪০ : প্যাট্রিশিয়ান পরিবারে বিয়ে করার অধিকার লাভ করে প্লিবিয়ানরা।
৪৪০ : রোমের পোপ মহান লিও (৪৬১ পর্যন্ত)।
৪৩৯ : ভ্যান্ডালরা দখল করে কার্থেজ।
৪৩৯ : গেইসেরিকের নেতৃত্বে ভ্যান্ডালদের কার্থেজ অবরোধ।
৪৩৩ : হুনদের শাসক আত্তিলা।
৪৩২ : আয়ারল্যান্ডে সেন্ট পেট্রিকের ধর্মপ্রচার।
৪৩১ : দ্বিতীয় পেলোপনেশীয় যুদ্ধ (৪২১ অব্দ পর্যন্ত)।
৪৩০ : দক্ষিণ আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে ইনকাদের প্রতিষ্ঠা ও রাজ্য।
৪৩০ : অ্যাথেন্সে প্লেগের ভয়াবহ বিস্তার।
৪২৯ : উত্তর আফ্রিকায় ভ্যান্ডালদের রাজ্য।
৪২৯ : প্লেগে পেরিক্লিসের মৃত্যু, অ্যাক্রোপলিস নির্মাণ সমাপ্ত। প্রাতোর জন্ম।
৪২৯ : উত্তর আফ্রিকায় ভ্যান্ডালদের রাজ্য প্রতিষ্ঠা (৫৩৫ সাল পর্যন্ত)।
৪২৫ : পশ্চিম রোম সাম্রাজ্যের সম্রাট হলেন তৃতীয় ভ্যালেন্টিনিয়ান। ব্রিটেনে অ্যাঙ্গল, সর্যাক্সন ও জুটদের অভিযান।
৪২৪ : দ্বিতীয় দরিয়ুসের পারস্য শাসন (৪০৪ অব্দ পর্যন্ত)।
৪২১ : অ্যাথেন্স ও স্পার্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি।
৪১৫ : অ্যাথেন্স ও স্পার্টার মধ্যে আবার যুদ্ধ শুরু।
৪১৪ : দ্বিতীয় জারক্সাস খুন : পারস্যের শাসক হলে দ্বিতীয় দরিয়ুস।
৪১৩ : অ্যাথেনীয়দের সিসিলি আক্রমণ ব্যর্থ।
৪১১ : অ্যাথেন্সে বিদ্রোহ : ক্ষমতা দখল করে পাঁচ হাজারের সরকার’, তবে শীঘ্রই ধাবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত।
৪১০ : অ্যালারিকের নেতৃত্বে গথরা অভিযান চালায় রোমে। পরিণত করে ধ্বংসস্তুপে।
৪০৯ : কার্থেজের সিসিলি অভিযান শুরু।
৪০৭ : অ্যাথেনীয় সেনাপতি আলকিবিয়াদেস দমন করেন প্রজারাষ্ট্রগুলোর বিদ্রোহ।
৪০৭ : প্রথম মোঙ্গল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা। রোমান সৈন্যের শেষ দলটিও চলে আসে ব্রিটেন থেকে। ব্রিটেন রক্ষার ভার ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের নিজেদের হাতে।
৪০৬ : গলে ভ্যাণ্ডাল ও অন্যান্য বারবার জাতির আক্রমণ।
৪০৫ : অ্যাথেন্সের নৌবাহিনীকে এগোম্পােটামির যুদ্ধে পরাজিত করে স্পার্টার বাহিনী। স্পার্টার নেতৃত্বে দেন লাইসেন্ডার।
৪০৪ : ৩০ স্বৈরাচারীর রাজত্বকাল।
৪০৪ : পারস্যের সিংহাসনে দ্বিতীয় আর্টাজারক্সাস। মিসরে ২৮তম বংশের রাজা অ্যামির্নিয়াস (৩৯৯ পর্যন্ত)। স্পার্টা দখল করে অ্যাথেন্স; অ্যাথেনীয় বীর আলকিবিয়াদিস নির্বাসনে গুপ্তঘাতকের হাতে নিহত।
৪০৩ : অ্যাথেন্সে গণতন্ত্র পুণরায় প্রতিষ্ঠা করেন পসানিয়াস।
৪০১ : রোমের পোপ প্রথম ইনোসেন্ট। তিনি দাবি করলেন, সমস্ত বিশ্ব রোমের চার্চের অধীনে।
৪০০ : পারস্যের দ্বিতীয় আর্টাজারক্সাসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে জেনোফেনের নেতৃত্বাধীন গ্রিক বাহিনী পরাজিত।
৩৯৯ : ধর্মবিরোধী শিক্ষাদানের অভিযোগে গ্রিক দার্শনিক সোক্রাতেসের মৃত্যুদণ্ড।
৩৯৬ : হিপোর বিশপ হলেন সেন্ট অগাস্টিন।
৩৯৫ : স্পার্টার বিরুদ্ধে অ্যাথেন্স, থিবিস, করিন্থ ও আর্গসের জোট গঠন। যুদ্ধে লাইসেন্ডার নিহত।
৩৯৫ : করোনার যুদ্ধ : স্পাটা পরাজিত করে অ্যাথেন্সের জোটকে।
৩৯৫ : পশ্চিম রোম সাম্রাজ্যের সম্রাট হলেন অনরিয়াস (৪২৩ সাল পর্যন্ত); পূর্ব সাম্রাজ্যের সম্রাট হলেন তার ভাই আর্কাডিয়াস (৪০৮ সাল পর্যন্ত)। রোমান বাহিনীর ভ্যাণ্ডাল নেতা স্টিলিকো গ্রিস থেকে বিতাড়িত করেন ভিসিগথদের।
৩৯৪ : থিওডোসিয়াস স্বল্পসময়ের জন্য রোম সাম্রাজ্যকে একীভূত করেন।
৩৯১ : রোমের একনায়ক মার্কাস ফিউরিয়াস ক্যামিলাস দমন করেন ইট্রুস্কানদের।
৩৯০ : বেনাসের নেতৃত্বে গলরা রোম তছনছ করে কিন্তু রাজধানী দখল করতে ব্যর্থ হয়।
৩৮৮ : ম্যাগনাস ম্যাক্সিমাসকে বন্দি করেন থিওডোসিয়াস। পরে তিনি ম্যাক্সিমাসকে হত্যা করেন।
৩৮৭ : দ্বিতীয় আর্টাজারক্সাসের কয়েকটি গ্রিক শহর দখল।
৩৮৬ : স্পার্টার শাসক অ্যান্টালসিডাস পারস্যের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করেন এবং অন্য গ্রিক রাজ্যগুলোকে তা মানতে বাধ্য করেন।
৩৮৩ : রোমের সৈন্যরা ব্রিটেন ছেড়ে আসতে শুরু করে।
৩৮৩ : পশ্চিম রোম সাম্রাজ্যের সম্রাট ম্যাগনাস ম্যাক্সিমাস। তিনি জয় করেন স্পেন ও গল।
৩৮০ : উত্তর কোরিয়ায় ‘স্টেট অব চুজেন’ গঠিত।
৩৮০ : সর্বশেষ স্থানীয় ৩০তম মিসরীয় বংশের শাসন (৩৪৩ অব্দ পর্যন্ত)।
৩৭৯ : পূর্ব রোম সাম্রাজ্যের সম্রাট হলেন মহান থিওডোসিয়াস (৩৯৫ সাল পর্যন্ত)।
৩৭৮ : পূর্ব রোম সাম্রাজ্যের সম্রাট ভ্যালেন্স। আড্রিয়ানোপলে গথদের সঙ্গে যুদ্ধে তিনি পরাজিত ও নিহত।
৩৭৫ : গ্রেশিয়ান, রোমসম্রাট।
৩৭৫ : উত্তর ভারতে গুপ্ত সাম্রাজ্যের সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত।
৩৭২ : কোরিয়ায় বৌদ্ধ ধর্মের প্রচলন।
৩৭১ : অ্যাথেনীয় জোট ও পাটার মধ্যে শান্তি চুক্তি।
৩৭০ : এশিয়ার হুনদের ইউরোপ অভিযান।
৩৭০ : স্পার্টার বিরুদ্ধে থিবিসের আর্কাডীয় জোট গঠন।
৩৬৯ : রোমশাসিত ব্রিটেন থেকে পিক্ট ও স্কটদের বিতাড়িত করেন রোমান সেনাপতি থিওডোসিয়াস।
৩৬৬ : রোমে নির্বাচিত প্লিবিয়ানদের প্রথম কাউন্সিল।
৩৬৪ : রোমসম্রাট ভ্যালেন্টাইন (৩৭৫ সাল পর্যন্ত)। পূর্ব রোমসাম্রাজ্যের সম্রাট ভ্যালেন্স (৩৭৮ সাল পর্যন্ত)।
৩৬৩ : রোমসম্রাট জোভিয়ানাস। তিনি পারস্যের হাতে ছেড়ে দেন মেসোপোটেমিয়া।
৩৬১ : জাপানের কোরিয়া অভিযান (৩৯০ অব্দ পর্যন্ত)।
৩৫৯ : ম্যাসিডনিয়ার রাজা হলেন দ্বিতীয় ফিলিপ (৩৩৬ অব্দ পর্যন্ত )। পারস্যের শাসক হলেন তৃতীয় আর্টাজারক্সাস (৩৩৬ পর্যন্ত)।
৩৫৫ : ফোসিয়ানরা ডেলফির মন্দির দখল করে এর সঞ্চিত অর্থ সেনাবাহিনী গড়ে তোলার জন্য ব্যবহার শুরু করলে তৃতীয় পবিত্র যুদ্ধের সূত্রপাত; অ্যাথেন্সের বিরুদ্ধে ম্যাসিডনিয়ার যুদ্ধ। মহান আলেকজান্ডারের জন্ম।
৩৫১ : মিসরে পারস্যের অভিযান ব্যর্থ।
৩৫১ : কনস্ট্যানশিয়াস একীভূত করেন রোম সাম্রাজ্য। রোম সাম্রাজ্যে খ্রিস্টধর্মের বদলে দেবদেবী পূজা প্রচলনের চেষ্টা করেন জুলিয়ান।
৩৫০ : রোমের হাত থেকে আর্মেনিয়া ছিনিয়ে নেয় পারস্য।
৩৫০ : পারস্যের বিরুদ্ধে ইহুদিদের ব্যর্থ বিদ্রোহ।
৩৫০ : ইথিওপিয়ায় খ্রিস্টধর্ম প্রচার।
৩৪৬ : ফিলোক্রেটিসের শান্তি অন্বেষা : ম্যাসিডনিয়ার সঙ্গে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে অ্যাথেন্সের কূটনীতিবিদ ফিলোক্রেটিস প্রতিনিধিদল নিয়ে যান ম্যাসিডনিয়ায়।
৩৪৩ : পারস্যের রাজা আর্টাজারক্সাস বিশাল বাহিনী নিয়ে মিসর আক্রমণ ও জয় করেন। মিসরে পারস্যের শাসন। ৩১তম বংশ (৩৩২ অব্দ পর্যন্ত)।
৩৩৯ : চতুর্থ পবিত্র যুদ্ধ (৩৩৮ অব্দ পর্যন্ত) : গ্রিস জয় করেন ম্যাসিডনিয়ার ফিলিপ।
৩৩৮ : পারস্যের শাসক হলেন তৃতীয় দরিয়ুস।
৩৩৭ : মৃত্যুশয্যায় কনস্ট্যানটাইনের বাপ্তিস্ম। কনস্ট্যানটাইনের তিন পুত্রের রাজত্ব। দ্বিতীয় কনস্ট্যানটাইন (৩৪০ সাল পর্যন্ত), কনস্ট্যান্স (৩৫০ সাল পর্যন্ত) ও কনস্ট্যানশিয়াস (৩৬১ সাল পর্যন্ত)।
৩৩৬ : ম্যাসিডনিয়ার ফিলিপ গুপ্তঘাতকের হাতে নিহত। তৃতীয় আলেকজান্ডার (মহান) হলেন ম্যাসিডনিয়ার রাজা (৩২৩ অব্দ পর্যন্ত)। অ্যাথেন্স, থিবিস ও অন্য গ্রিক শহরগুলোর বিদ্রোহ দমন করেন মহান আলেকজান্ডার।
৩৩৪ : পারস্যের বিরুদ্ধে আলেকজান্ডারের অভিযান; এশিয়া মাইনরে গ্লানিকাস নদীতীরের যুদ্ধে পরাজিত করেন তৃতীয় দরিয়ুসকে।
৩৩৩ : ইসাসের যুদ্ধে দরিয়ুসকে আবার পরাজিত করেন আলেকজান্ডার; বন্দী করেন দরিয়ুসের রানি ও তাঁর সন্তানদের। দরিয়ুস তাঁদের জন্য মুক্তিপণ ও সাম্রাজ্যের অংশবিশেষ ছেড়ে দিতে চাইলেও আলেকজান্ডারের অস্বীকৃতি। আলেকজান্ডার দখল করেন টায়ার বন্দর; ফিনিশীয় সাম্রাজ্যের বিলুপ্তি।
৩৩২ : আলেকজান্ডার দখল করেন মিসর; প্রতিষ্ঠা করেন আলেকজান্ড্রিয়া নগরী।
৩৩১ : আবার পারস্য অভিযান; আরবেলার যুদ্ধে পারস্যের দরিয়ুস পরাজিত! বিলুপ্ত হয়ে গেল পারস্য সাম্রাজ্য।
৩৩০ : কনস্টান্টিনোপল হল রোম সাম্রাজ্যের রাজধানী।
৩৩০ : ভারতের সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত।
৩৩০ : খুন হলেন দরিয়ুস। আলেকজান্ডারর পুরো নিয়ন্ত্রণে পারস্য।
৩৩০ : রোম সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসাবে কনস্টান্টিনোপল নগরীর উদ্বোধন করেন কনস্ট্যানটাইন।
৩২৭ : আলেকজান্ডারের ভারত অভিযান শুরু।
৩২৭ : গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলে গঙ্গাঋদ্ধি রাজ্য।
৩২৪ : রোম সাম্রাজ্যকে একীভূত করেন কনস্ট্যানটাইন।
৩২৩ : ব্যাবিলনে আলেকজান্ডারের মৃত্যু, তাঁর সেনাপতিদের মধ্যে সাম্রাজ্য ভাগ। মিসরের ক্ষত্রপ বা শাসনকর্তা হলেন টলেমি। এউক্লিদেসের জন্ম।
৩২১ : উত্তর ভারতে চন্দ্রগুপ্তের মৌর্য বংশ প্রতিষ্ঠা। এই বংশ ক্ষমতায় টিকেছিল ১৮৪ অব্দ পর্যন্ত।
৩২০ : টলেমির জেরুসালেম দখল। সিরিয়া মিসরের প্রদেশে পরিণত। থিওক্রেটিসের জন্ম।
৩২০ : উত্তর ভারতের সম্রাট প্রথম চন্দ্রগুপ্ত প্রতিষ্ঠা করেন গুপ্ত বংশ।
৩১৭ : চীন আবার বিভক্ত (৫৮৯ অব্দ পর্যন্ত)।
৩১৭ : অশোকের রাজত্বকাল।
৩১৬ : আলেকজান্ডারের উত্তর ভারত জয়; সৈন্যদের আর পূর্ব দিকে যেতে অস্বীকৃতি, আলেকজান্ডারের স্বদেশ যাত্রা।
৩১৬ : আলেকজান্ডারের মাতা অলিম্পিয়াস খুন। তাঁর আদেশে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল তার প্রতিশোধ।
৩১৩ : সহনশীলতার আইন।
৩১৩ : মিলানে ধর্মীয় সহনশীলতার ঘোষণা। সাম্রাজ্যে খ্রিস্টধর্ম প্রচারের অধিকার দিলেন কনস্ট্যানটাইন।
৩১২ : আলেকজান্ডারের সেনাপতি সেলুকাস দখল করতে শুরু করেন সিরিয়া। পেরামের রাজস্ব বিভাগের অধ্যক্ষ আপ্লিয়াস ক্লডিয়াস শুরু করেন রোম থেকে কাপুয়া পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ।
৩১২ : মিলভিয়ান সেতুর যুদ্ধে ম্যাক্সেনশিয়াসকে পরাজিত ও নিহত করেন কনস্ট্যানটাইন। তিনি খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন।
৩১০ : স্যামনাইটদের সঙ্গে মিলে ইট্রুস্কানদের রোম আক্রমণ। ভাদিমা হ্রদের যুদ্ধে তারা পরাজিত।
৩০৭ : আলেকজান্ডারের দুই সেনাপতি অ্যান্টিগোনাস ও ডিমেটিয়াস গ্রহণ করেন রাজা উপাধি।
৩০৬ : রোম ও কার্থেজের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি।
৩০৬ : পূর্ব রোম সাম্রাজ্যের অধীশ্বর হলেন মহান প্রথম কনস্ট্যানটাইন।
৩০৫ : সেলুসিড বংশ প্রতিষ্ঠা।
৩০৫ : প্রথম টলেমি ধারণ করেন মিসরের রাজা উপাধি এবং শীঘ্রই তিনি ফারাও হিসাবে ঘোষিত হন। ব্যাবিলনের রাজা হলেন প্রথম সেলুকাস এবং প্রতিষ্ঠা করেন সেলুসিড বংশ। সিসিলির সাইরাকুজের একনায়ক অ্যাগাথোক্লেস ভীষণভাবে পরাজিত হয়ে কার্থেজের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করেন। অব্যাহত থাকে তার রাজা উপাধি।
৩০৫ : ডাইওক্লিশিয়ান ও ম্যাক্সিসিয়ান-দুজনেই ক্ষমতা ত্যাগ করেন। লেগে থাকে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব।
৩০৪ : পাঁচশ হাতির বিনিময়ে চন্দ্রগুপ্তের কাছে সেলুকাস ছেড়ে দেন ভারতের ওপর তার অধিকার। স্যামনাইটদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে রোম। বিনিময়ে পায় নেপলসের আশপাশের এলাকা।
৩০৩ : ডাইওক্লিশিয়ান খ্রিস্টানদের হত্যা ও নির্যাতন করার জন্য ঢালাও নির্দেশ দিলেন।
৩০১ : প্রথম টলেমির প্যালেস্টাইন শাসন।
৩০১ : প্রথম সেলুকাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রথম অ্যান্টিগোনাস নিহত। সিরিয়া গেল সেলুকাসের শাসনে, ফিলিস্তিনের শাসনভার পেলেন প্রথম টলেমি।
৩০০ : মধ্য আমেরিকার ইউকাটান ও এর দক্ষিণ এলাকায় মায়া সভ্যতা।
৩০০ : রোম ও কার্থেজের মধ্যে চুক্তি।