অ্যাথেন্সের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিটি না ছিলেন রাজা, না একনায়ক। তার নাম পেরিক্লিস, সদ্বংশজাত এক ধনাঢ্য ব্যক্তি। তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষের একটি দলের নেতা। এই দলটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হলেও তা আজকের যুগের দলের মত ছিল না। তাঁর ব্যক্তিত্বের গুণেই তিনি অ্যাথেন্সের জনগণের পরিষদ একলেসিয়া নিয়ন্ত্রণ করতেন। সে সময় তিনি যে পদটি অধিকার করেছিলেন তা হচ্ছে নগর রাষ্ট্রের দশ সেনাপতির একটি পদ; প্রতি বছরেই তিনি এই পদে নির্বাচিত হতেন।
পেরিক্লিস ছিলেন গণতন্ত্রের উদাতা, বিশ্বাসী ছিলেন জনগণের দ্বারা জনগণের শাসনে এবং সেজন্যই তাকে গণতন্ত্রের জনক হিসাবে অভিহিত করা হয়। তাঁর নেতৃত্বেই আথেন্সের পরিষদ অভিজাতদের কাউন্সিল অ্যারিওপ্যাগাসের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেয় এবং ধনীদরিদ্র নির্বিশেষে জনতার জন্য পরিষদকে উন্মুক্ত করে দেয়।
পেরিক্লিসের যুগে অ্যাথেন্স শুধু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই পরিণত হয়নি, বিশ্বের অন্যতম ১দর নগরী হিসাবেও খ্যাতি অর্জন করেছিল। ত্রিশ বছর তার নিয়ন্ত্রণে থাকা অ্যাথেন্সে সৃষ্টি হয়েছে আশ্চর্য সব স্থাপত্য, ভাস্কর্য ও নাটক। ৬৬ বছর বয়সে প্লেগে আক্রান্ত হয়ে তিনি খিষ্ট্রপূর্ব ৪২৯ অব্দে মারা যান।