প্রাচীন গ্রিসের জ্ঞানীরা জন্ম দিয়েছিলেন দর্শন ও বিজ্ঞানের, সে সময় জ্ঞানের এ দুটি শাখা ছিল এক ও অভিন্ন। দার্শনিকরা মৌলিক সত্যগুলো আবিষ্কারের চেষ্টা করতেন এবং পরে এরই ভিত্তিতে তারা চালাতেন বিজ্ঞানভিত্তিক পর্যবেক্ষণ।
থেলিস ও দেমোক্রিতাসের মত দার্শনিকরা আবিষ্কারের চেষ্টা করেছিলেন এই মহাবিশ্বের গতিপ্রকৃতি কী এবং তা কীসের ওপর প্রতিষ্ঠিত; এই প্রকৃতি কি স্থির না পরিবর্তনশীল তাও তারা উঘাটন করতে চেয়েছিলেন। প্রােতাগোরাস ও জর্জিয়াসের মত দার্শনিকরা, যারা সোফিস্ট হিসাবে পরিচিত, প্রশ্ন তুলেছিলেন সত্য বলে কি সত্যিই কিছু আছে, না তা শুধু ব্যক্তিগত অভিমত মাত্র।
গ্রিকদের মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে বড়ো দার্শনিক সোক্রাতেস যুক্তি দিয়েছিলেন যে সত্য আছে এবং প্রকৃত মানুষ হওয়ার জন্য মানবিক গুণাবলী অপরিহার্য। আর এই শিক্ষা ও দর্শন বেঁচে রয়েছে তার বিখ্যাত শিষ্য পাতোর রচনায়। তিনি বিশ্বাস করতেন যে নিত্যদিনের এই বিশ্বের বাইরেও একটি আদর্শ ফর্মের অস্তিত্ব রয়েছে।
প্লাতোর প্রধান শিষ্য ছিলেন আরিস্ততল, তিনি ছিলেন আবার মহাবীর আলেকজান্ডারের গৃহশিক্ষক। তিনি যুক্তিবিদ্যার একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন এবং জীববিদ্যা সম্পর্কে সুশৃঙ্খলভাবে জ্ঞানান্বেষণে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সমস্ত কিছুর সৃষ্টিকর্তা একজন দেবতা। পশ্চিম ইউরোপে দুহাজার বছর ধরে তার রচনা পড়ানো হয়েছে এবং কোন প্রশ্ন না তুলেই তার মতামত মেনে নেওয়া হয়েছে। যেসব দার্শনিক পরবর্তীকালে আধুনিক বিজ্ঞানের শাখ প্রবর্তন করেন তাদের মধ্যে রয়েছেন গণিতজ্ঞ এউক্লিদেস ও হিপারকাস, পদার্থ বিজ্ঞানী আর্কিমিদেস ও আলেকজান্ড্রিয়ার হিরো।